কমবেশি ৬০ টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখাে (প্রশ্নমান – ৩)
২। “বুনাে হাস ধরাই এদের কাজ,” — বক্তা কে? একথা বলার কারণ কী?
উত্তর – শরৎচন্দ্রের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে উক্তিটির বক্তা হলেন রামদাস তলয়ারকর।
জগদীশবাবু, নিমাইবাবুর মতাে ব্রিটিশ সরকারের বেতনভুক্ত পুলিশদের সম্বন্ধে একথা বলা হয়েছে। কারণ তারা দেশের খেয়ে-পরে দেশের মানুষকেই ধরার জন্য তৎপর।
অপূর্বর বাড়িতে চুরি হলেও এরা পরাধীন নাগরিকের নিরাপত্তার ধার ধারে না, তার বদলে স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবী বা পলিটিক্যাল সাসপেক্টদের ধরতেই ব্যস্ত বলে বক্তা এদের সম্পর্কে কথাগুলি বলেছেন।
৩।“এমন তাে নিত্য-নিয়তই ঘটছে,” – বক্তা কে? কোন ধরণের ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর – শরৎচন্দ্রের ‘পথের দাবী’ রচনাংশে অপূর্ব রামদাস তলয়ারকরকে এ কথা বলেছে।
দেশাত্মবােধে উদ্বুদ্ধ অপূর্ব দেখেছে যে অন্য দেশের মতাে ভারতেও যারা জন্মভূমিকে স্বাধীন করার চেষ্টা করে চলেছে – তাদের কি নিদারুন জীবন যন্ত্রণার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ফিরিঙ্গিরা দেশীয়দের নানাভাবে অপমানিত ও লাতি করছে, স্টেশন মাস্টার যেভাবে অপূর্বকে কুকুরের মতাে তাড়িয়ে দিয়েছে – সে অপমান অপূর্বর ভেতরে অগ্নি সংযােগ করে দিয়েছে। এটা শুধু একটিমাত্র ঘটনাই নয় – এমন তাে নিত্য-নিয়তই ঘটছে বলে অপূর্ব এখানে ব্যক্ত করেছে।
৪। “এতবড় সব্যসাচী ধরা পড়িল না, কোনাে দুর্ঘটনা ঘটিল না।”- কারএ কথা মনে হয়েছে? কেন?
উত্তর – শরৎচন্দ্রের ‘পথের দাবী’ শীর্ষক রচনায় দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ অপূর্বর এ কথা মনে হয়েছে।
যারা পরাধীন দেশকে স্বাধীন করা ব্রতে জীবনকে উৎসর্গ করেছে – সব্যসাচী মল্লিক তাদের মধ্যে একজন। তাকে ব্রিটিশ পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে। তার বার্মামূলকে আগমনের গােপন খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সবকিছু তল্লাসি শুরু করে। সন্দেহজনকভাবে গিরীশ মহাপাত্রকে পাকড়াও করলেও প্রমাণাভাবে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অপূর্ব মনে মনে চাইছিল সব্যসাচী ধরা না পড়ুক। সব্যসাচীর ধরা পড়া তার কাছে দুর্ঘটনার মতাে। সব্যসাচীর ধরা না পড়ার ঘটনাই তার মনে হয়েছে কোনাে দুর্ঘটনা ঘটিল না।
৫। বুড়াে মানুষের কথাটা শুনাে।’— বুড়াে মানুষ কে ? তাঁর কোন্ কথাশুনতে বলা হয়েছে ? অথবা, “আজ্ঞে না মাইরি খাইনে।’— কার উক্তি ? কী কারণে এমন উক্তি? অথবা, তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন ? – কোন বস্তুর কথা বলা হয়েছে ? এই বক্তব্যের যথার্থতা বিচার করাে। অথবা, দয়ার সাগর! পরকে সেজে দি, নিজে খাইনে। মিথ্যেবাদী । কোথাকার’ – কার উদ্দেশ্যে এই উক্তি ? এমন উক্তির কারণ কী ? অথবা, এই মাত্র! নইলে নিজে খাইনে। – কী খাওয়ার কথা বলা হয়েছে ? বক্তার এমন উক্তির কারণ কী ?
উত্তর – প্রখ্যাত কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বিরােচিত ‘পথের দাবী’ রচনাংশে।
বুড়াে মানুষটি হল নিমাই বাবু। এখানে গাজার কলকের কথা বলা হয়েছে। পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিকের ছদ্মবেশী গিরীশ মহাপাত্রকে পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে তল্লাশি করার সময় পকেট থেকে গাঁজা খাওয়ার কলকে পায় দারেআন নিমাই বাবু গিরীশ মহাপাত্রকে গাঁজা খাওয়ার কথা বললে গিরীশ মহাপাত্র অস্বীকার করেন। বরং সে জানায় কারাে উপকারের জন্য গিরীশ মহাপাত্র এ সব পকেটে রেখেছে। একথা শুনে জগদীশ বাবু চটে উঠে বলেন— ‘দয়ার সাগর! পরকে সঙ্গে দি, নিজে খাইনে। মিথ্যেবাদী কোথাকার!’
৭। তুমি তাে ইউরােপিয়ান নও।’—বক্তা কে? বক্তার এমন উক্তির কারণকী ? অথবা, ও নিয়ম রেলওয়ে কর্মচারীর জন্য বক্তার এমন উক্তির কারণ বিশ্লেষণ করাে। অথবা, সেই রাত্রের মধ্যে বার তিনেক তাহার ঘুম ভাঙাইয়া পুলিশের লােক তাহার নাম ও ধাম ও ঠিকানা লিখিয়া লইয়াছে।’— কার। সম্পর্কে বলা হয়েছে এবং সেই ঘটনার বিবরণ দাও।
উত্তর – কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের লেখা ‘পথের দাবী’ রচনাংশে।
অপূর্ব ভামাে যাওয়ার সময় প্রথম শ্রেণির টিকিট থাকা সত্ত্বেও অপূর্বকে যে বিরক্তিকর তল্লাসীর চাপে পড়তে হয়েছিল তার কথা বলা হয়েছে।
অপূর্ব ভামাে যাওয়ার সময় তাঁর কাছে প্রথম শ্রেণির টিকিট থাকা সত্ত্বেও রেলওয়ে কর্মচারী ও পুলিশ রাতে তিনবার ঘুম থেকে ডেকে তুলে তল্লাসী করেছিল। এর প্রতিবাদ করতে গেলে বর্মা সাব ইনস্পেক্টর কটু কণ্ঠে জবাব দেয় – “তুমি তাে ইউরেপিয়ান নও। …… আমি পুলিশ, ইচ্ছা করলে আমি তােমাকে টানিয়া নীচে নামাইতে পারি।
৮।“পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককে নিমাইবাবুর সম্মুখে হাজির করা হইল।” – এরপর পুলিশস্টেশনে কী পরিস্থিতি তৈরী হল, তা পাঠ্যাংশ অনুসরণে আলােচনা করাে। অথবা, “তুমি এখন যেতে পারাে মহাপাত্র” – কোন ঘটনার পর তাকে যেতে বলা হল নিজের ভাষায় লিখ।
উত্তর – কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ উপন্যাসের অংশবিশেষ ‘পথের দাবী” শীর্ষক পাঠ্যাংশে দেখা যায় পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককে অনুসন্ধান করতে গিয়ে সন্দেহজনকভাবে গিরীশ মহাপাত্রকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
নাম ধাম জিজ্ঞাসা করে তার তল্লাসি নেওয়া হয়। পকেট থেকে একটি গাজার কলকে উদ্ধার হওয়ায় সে জানায় নিজে খায় না – সে বলেছে, আজ্ঞে মাইরি খাইনে। তবে ইয়ার বন্ধু কেউ তৈরী করে দিতে বললে দিই। এরপর নিমাইবাবু তাকে আর গাঁজা না খাবার অনুরােধ করে বলেন, “আরে খেয়াে না।। বুড়াে মানুষের কথাটা শুনাে।”
৯। গিরীশ মহাপাত্রের পােশাক পরিচ্ছদের বর্ণনা দাও।
অথবা “তাহার পােশাক-পরিচ্ছদের বাহার মনে পড়িয়া হঠাৎ হাসির ছটায় দম আটকাইবার উপক্রম হইল।” – উদ্দিষ্ট ব্যক্তির পােশাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা দাও।
উত্তর – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘পথের দাবী’ রচনাংশে পুলিশ স্টেশনে সন্দেহজনকভাবে গিরীশ মহাপাত্রকে আটক করা হয়।
গিরীশ মহাপাত্রের মাথার সামনের দিকের চুল বড় কিন্তু ঘাড়ের ও পিছনের দিকে ছােট করে ছাঁটা। মাথার মাঝখানে চেরা সিঁথি, লেবুর গন্ধযুক্ত তেলে চুল ভেজানাে। কঠিন রুগ্ন চেহারা, গায়ে জাপানি সিল্কের রামধনু রঙের পাঞ্জাবী। পরনে বিলাতি মিলের মকমল পাড়ের সূক্ষ্ম শাড়ি, বুক পকেটে বাথ আঁকা রুমাল। পায়ে মােজা এবং পাম্প সু পরা। হাতে লােহার নাল পরানো। হরিণের সিংহের হাতল দেওয়া বেতের ছড়ি। জাহাজের ধকলে সবকিছুতেই নােংরার পরিচয় রয়েছে।
দশম শ্রেণী বাংলা – পথের দাবী : রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর : [প্রতিটি প্রশ্নের মান-5]
(১) ‘পথের দাবি’ রচনায় অপূর্ব চরিত্রটি সংক্ষেপে আলােচনা কর।
(২)পথের দাবি রচনায় গিরীশ মহাপাত্রের চরিত্রটি সংক্ষেপে লেখ।
(৩)“বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষোলো আনাই বজায় আছে”- বাবুটি কে? তার সাজসজ্জার বর্ণনা দাও। কে কার উদ্দেশ্যে মন্তব্যটি করেছেন। এমন মন্ত্যব্যের কারণ কি?
উত্তর : কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্যোপাধ্যায় রচিত পথের দাবী পাঠ্যাংশে বাবুটি হল গিরীশ মহাপাত্র।
বাবুটির মাথার সামনের দিকে বড়ো বড়ো চুল থাকলেও ঘাড় ও কানের দিকে ছোটো করে ছাঁটা চুল।মাথায় চেরা সিঁথি, তেলনিষিক্ত চুল লেবুর গন্ধে ম ম করছে। গায়ে উত্তরীয় ব্যতীত একটি জাপানি সিল্কের রামধনু রঙের চুড়িদার পাঞ্জাবি,যার বুক পকেটে বাঘ আঁকা রুমাল উঁকি দিচ্ছে। বাবুটির পরনে বিলেতি মিলের কালো মখমল পাড়ের সূক্ষ্ম শাড়ি, হাঁটুর উপরে লাল ফিতে দিয়ে বাঁধা সবুজ রঙের ফুল মোজা। শুকতলায় লোহার নাল বাঁধানো বার্নিশ করা পাম্প শু এবং হাতে হরিণের শিঙের হাতল দেওয়া বেতের ছড়ি।
বর্মা পুলিশ স্টেশনের বড়বাবু নিমাই কথাটি বলেছেন জনৈক বাবু গিরীশ মহাপত্রের উদ্দেশ্যে।
গিরীশ মহাপাত্রের অদ্ভুত রঙচঙে বেশভূষার কারণে নিমাইবাবু এমন মন্ত্যব্য করেছেন।
(৪)রোগা মুখের অদ্ভুত চোখের দৃষ্টির বর্ণনা দাও। এখানে কার চোখের কথা বলা হয়েছে? গিরীশ মহাপত্রের পকেট থেকে কি পাওয়া যায় ?
উত্তর : রোগ মুখের অদ্ভুত দুটি চোখের দৃষ্টির মধ্যে দিয়ে জনৈক বাবুর রহস্যময় চরিত্র ফুটে উঠেছে। দৈহিক দিক থেকে বাবুকে দুর্বল ক্ষীণ প্রাণশক্তির মনে হলেও ওই অদ্ভুত তেজোময় চোখের দীপ্তি দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে বাবুটির অন্তরে লুক্কায়িত আছে এমন এক গভীরতা যেখানে খেলা করা চলে না, যেখানে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হয়। তার প্রানের অন্তঃস্থলে লুকিয়ে রয়েছে তার জিয়নকাঠি, মৃত্যুও যেখানে প্রবেশ করতে সাহস পায় না।
পাঠ্যাংশটিতে বর্মা পুলিশ স্টেশনে নিয়ে আসা সন্দেহজনক ব্যক্তি জনৈক গিরীশ মহাপাত্রের চোখের কথা বলা হয়েছে।
গিরীশ মহাপাত্রের পকেট থেকে একটা লোহার কম্পাস, মাপ করার কাঠের একটা ফুটরুল, কয়েকটা বিড়ি, একটা দেশলাই ও একটা গাঁজার কল্কে পাওয়া যায়।
(৫)“পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককে নিমাইবাবুর সম্মুখে হাজির করা হইল”- পাঠ্যাংশ অনুসারে সব্যসাচী মল্লিক সম্পর্কে কি জানা যায়?তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েচিল?
উত্তর : পথের দাবী পাঠ্যাংশ অনুসারে জানা যায় যে বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক বর্মায় এসেছেন। সব্যসাচী বিজ্ঞান ও চিকিৎসাশাস্ত্রে অসাধারণ পারদর্শী ও একই সঙ্গে বিলাতের ডাক্তার উপাধিধারী। সে বৃটিশ রাজবিদ্রোহী।
পোলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককে জিজ্ঞাসাবাদের সময় থানায় একটা তামাশার সৃষ্টি হয়েছিল। তাকে থানার বড়বাবুর সামনে নিয়ে আসা হলে জানা যায় যে সে বর্মার অয়েল কোম্পানীর তেলের খনিতে কাজ করত। লোকটির শরীর স্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়লেও পোশাক পরিচ্ছদের বাহার লক্ষ্যণীয়। তাকে তদারক করলে দেখা যায় যে তার কাছে লোহার কম্পাস,কাঠের ফুটরুল,বিড়ি,দেশলাই ও গাঁজার কল্কে রয়েছে। গিরীশ মহাপাত্রের কথাবার্তা শুনে , তার সাজপোশাক দেখে সকলেই নিশ্চিত হয় যে গিরীশ মহাপাত্র কখনোই সব্যসাচী মল্লিক হতে পারে না। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, খানিকক্ষণ পুলিশ স্টেশনে তার সঙ্গে তামাশা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
(৬) “যাঁকে খুঁজছেন তাঁর কালচরের কথাটা একবার ভেবে দেখুন”-উক্তিটি কে কার সম্পর্কে করেছে? এখানে কাকে খোঁজার কথা বলা হয়েছে?কোন প্রসঙ্গে এই উক্তিটি করেছেন? কালচর বলতে কি বোঝায়?
উত্তর : পথের দাবী গদ্যাংশে এই উক্তিটি অপূর্ব করেছে গিরীশ মহাপাত্র কে লক্ষ্য করে।
এখানে বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিককে খোঁজার কথা বলা হয়েছে।
রেঙ্গুনের পুলিশেরা যাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিলেন তিনি একজন বিপ্লবী। সব্যসাচী মল্লিক হলেন সেই বিপ্লবী যিনি কীনা বৃটিশকে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাচ্ছিলেন। তার চেহারা কখনোই গিরীশ মহাপাত্রের মত ক্ষীণদেহী ও রোগগ্রস্থ হতে পারে না। উপরন্তু গিরীশ যে ধরণের রঙচঙে পোশাক পরিধান করেছিল তা যেকোনো বিলাতফেরত ডাক্তারের পোশাক পরিধানের পরিপন্থী। সর্বোপরি গিরীশ মহাপাত্রের চালচলন, আচার ব্যবহার সবকিছুই অতি সাধারণ নিম্নবিত্ত মানুষকে তুলে ধরছিল পদে পদে তাই এই প্রসঙ্গে অপূর্ব উক্ত উক্তিটি করেছিল।
কালচর বলতে এখানে রুচিবোধের কথা বলা হয়েছে। পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে গিরীশ মহাপাত্রকে ধরে আনা হলেও বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক ও গিরীশ মহাপাত্রের চালচলন,আচার ব্যবহার,রুচিবোধের বিস্তর ফারাক। এখানে কালচর বলতে তাই বোঝানো হয়েছে।
Pingback: MADHYAMIK HISTORY LAST MINUTE SUGGESTION 4TH CHAPTER 2 MARKS SAQ PART 1 | Pariksha Prastuti
Pingback: MADHUYAMIK LAST MINUTE SUGGESTION 2022 ENGLISH NOTICE WRITING | Pariksha Prastuti