ডাকাতের মা গল্পের MCQ ছোট বড় প্রশ্ন উত্তর

ডাকাতের মা প্রশ্ন উত্তর

পরীক্ষা প্রস্তুতি : একাদশ শ্রেণীর ‘ ডাকাতের মা ‘ গল্পের MCQ ছোট বড় প্রশ্ন উত্তর। প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা তোমরা  যারা এবছর  একাদশ শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষা দেবে তোমাদের সকলকে WWW.PARIKSHAPRASTUTI.ORG এক্সপার্ট টিমের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। তোমরা যাতেএকাদশ শ্রেণীর বাংলা  বিষয়ে ১০০% নাম্বার পেতে পারো তার জন্য আমাদের টীম তোমাদের জন্য বিষয় ভিত্তিক chapter wise সাজেশন নিয়ে আসবে ধারাবাহিক ভাবে। আজকে  একাদশ শ্রেণীর ‘ ডাকাতের মা ’ গল্পের সঠিক উত্তর নির্বাচনধর্মী (MCQ ),সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী(SAQ ) এবং রচনাধর্মী বড় (LAQ ) প্রশ্ন ও উত্তরের সাজেশন  তুলে ধরা হল। আমাদের এই প্রচেষ্টা ভালো লাগলে তোমাদের বন্ধুদের মাঝে আমাদের এই ওয়েব পেজটি শেয়ার  করবে। ডাকাতের মা গল্পের MCQ ছোট বড় প্রশ্ন উত্তর। ‘ডাকাতের মা’ গল্পের MCQ ছোট বড় প্রশ্ন উত্তর।ডাকাতের মা গল্পের MCQ ছোট বড় প্রশ্ন উত্তর

একাদশ শ্রেণীর বাংলা  ‘ডাকাতের মা’ গল্পের প্রশ্ন উত্তর 

Class xi Bengali Dakater Maa galper MCQ SAQ LAQ 

‘ডাকাতের মা’ গল্পের উৎস 

১৩৬৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত সতীনাথ ভাদুড়ীর বিখ্যাত গল্প সংকলন ‘চকাচকী’তে এই গল্পটি স্থান পায় এবং আমাদের আলোচ্য পাঠ্যাংশটিও সেই গল্প সংকলন থেকেই সংগৃহীত হয়েছে।

ডাকাতের মা গল্পের সঠিক উত্তর নির্বাচনধর্মী প্রশ্ন-উত্তর MCQ  

সঠিক উত্তর নির্বাচনধর্মী প্রশ্ন -MCQ (প্রশ্নমান – ১) ডাকাতের মা  (সতীনাথ ভাদুড়ী  )গল্পের প্রশ্ন উত্তর –  একাদশ বাংলা সাজেশন ২০২৩ –Class xi Bengali Suggestion 2023

[এখানে প্রতিটি প্রশ্নের  উত্তরের চারটি অপসন দেওয়া আছে ,আর মধ্যে প্রথমে নিজে নিজে একটি উত্তর বেছে নাও এবং তার পরে Show Ans. এর উপর ক্লিক করে correct answer মিলিয়ে নাও ]

1)সৌখীদের বাড়ির বাইরে কোন ফলের গাছ ছিল?
[A]আম
[B]পেয়ারা 
[C]লেবু 
[D]নোনা আতা 

Show Ans

Correct Answer: [D]নোনা আতা 

2)”লোটা হলো বাড়ির লক্ষী” -বক্তা কে?
[A]পেশকারের স্ত্রী
[B]দারোগা সহ্যের 
[C]সৌখির মা 
[D]মাতাদিন পেশকার 

Show Ans

Correct Answer:[A]পেশকারের স্ত্রী

3)সৌখীর মায়ের বেয়াই এর কয়টি মোষ ছিল?
[A]একটি 
[B]দুটি 
[C]তিনটি 
[D]চারটি 

Show Ans

Correct Answer:[B]দুটি 

4)সৌখী কাকে ঘুষ দিয়েছিল?
[A]জেলার সাহেবকে
[B]লাট সাহেবকে
[C]চৌকিদারকে
[D]হেড জমাদার সাহেবকে

Show Ans

Correct Answer:[D]হেড জমাদার সাহেবকে

5)সৌখীর মা কী বিক্রি করে জীবন কাটায়?
[A]দই 
[B]করে 
[C]খই মুড়ি 
[D]ধান 

Show Ans

Correct Answer:[C]খই মুড়ি 

6)দলের লোকেরা কয় বছর সৌখীর মাকে টাকা পাঠিয়েছিল?
[A]এক বছর 
[B]দুই বছর 
[C]তিন বছর 
[D]চার বছর 

Show Ans

Correct Answer:[B]দুই বছর 

7)”চোরাই মাল জেনেই কিনেছিস” – বক্তা কে?
[A]সৌখির মা 
[B]মাতাদিন পেশকার 
[C]দারোগা 
[D]দোকানদার 

Show Ans

Correct Answer:[B]মাতাদিন পেশকার 

8)”ওকে ছেড়ে দিন দারোগা সাহেব”- বক্তা কে?
[A]সৌখি
[B]সৌখির মা 
[C]সৌখির বাবা 
[D]সোয়াইখির বৌ 

Show Ans

Correct Answer:[B]সৌখির মা 

9)”পুলিশ দেখে ভয় পাওয়ার লোক সে নয়”- এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
[A]সৌখির 
[B]সৌখির মায়ের 
[C]সৌখির বাবার 
[D]সৌখির বৌয়ের 

Show Ans

Correct Answer:[B]সৌখির মায়ের 

10) “বুকের মধ্যে ধড়াস ধড়াস করছে”-উক্তিটি কার?
[A]পেশকার সাহেবের 
[B]সৌখির মায়ের 
[C]সৌখির 
[D]সৌখির বৌয়ের 

Show Ans

Correct Answer:[B]সৌখির মায়ের 

11)হাতি পাকে পড়লে কে লাথি মারে?
[A]স্যাপ 
[B]টিকটিকি 
[C]ব্যাং 
[D]মানুষ 

Show Ans

Correct Answer:[C]ব্যাং 

12) “ঘুম আর আসতে চায়না”-এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
[A]সৌখির 
[B]সৌখির মায়ের 
[C]সৌখির বাবার 
[D]সৌখির বৌয়ের 

Show Ans

Correct Answer:[B]সৌখির মায়ের 

13)টকটক করে টোকার শব্দ থেমে থেমে তিনবার হলে বুঝতে হবে কে এসেছে?
[A] সৌখী নিজে এসেছে
[B]সৌখীর বাপ এসেছে
[C]দলের লোক টাকা দিতে
[D]পুলিশের লোক এসেছে

Show Ans

Correct Answer:[D]পুলিশের লোক এসেছে

14) “ডাকাতের মায়ের ঘুম পাতলা না হলে চলে না”- কেন?
[A]ছেলে ডাকাতি করে রাতে ফিরে
[B]দরজায় সামান্য আওয়াজে যাতে ঘুম ভেঙে যায়
[C] পুলিশ এলে যাতে সতর্ক হওয়া যায়
[D] উপরের সবগুলো ঠিক

Show Ans

Correct Answer:[D] উপরের সবগুলো ঠিক

15) কে জেল দেখতে গিয়েছিলেন?
[A]বড় সাহেব 
[B]লাট সাহেব 
[C]বড়বাবু 
[D]ছোটবাবু 

Show Ans

Correct Answer:[B]লাট সাহেব 

একাদশ শ্রেণীর Leela’s Friend গল্পটির প্রশ্ন-উত্তরের জন্য এখানে click  করুন। 

16)কাছারির ঘড়িতে কটা বাজে ?
[A]রাত  তিনটে 
[B]রাত  দুটো 
[C]রাত  একটা 
[D]রাত চারটা 

Show Ans

Correct Answer:[B]রাত  দুটো 

17) সৌখির ক’বছর হল জেলে গিয়েছে?
[A]সাত বছর 
[B]ছয় বছর 
[C]পাঁচ বছর 
[Dচার বছর ]

Show Ans

Correct Answer:[C]পাঁচ বছর 

18)সৌখীর ছেলের বয়স কত?
[A]
[B]সাত-আট বছর
[C]দশ-এগারো বছর
[D] দুই-তিন বছর

Show Ans

Correct Answer:[A]

19)সৌখির মা আগে ছিল কী?
[A]ডাকাতের বউ
[B]ডাকাতের মা 
[C]ডাকাতের ছেলে 
[D]ডাকাত 

Show Ans

Correct Answer:[A]ডাকাতের বউ

20)জেলের ঠিকাদারের কাছ থেকে সৌখী কত টাকা রোজগার করে এনেছিল?
[A]৫০ টাকা 
[B]৬০ টাকা 
[C]৭০ টাকা  
[D]৯০ টাকা 

Show Ans

Correct Answer:[D]৯০ টাকা 

21)সৌখী টাকা কোথায় রেখেছিল ? 

[A]মানিব্যাগে 
[B]কোমরের বটুয়ায় 
[C]মায়ের কাছে 
[D]কোনোটাতেই নয় 

Show Ans

Correct Answer:[B]কোমরের বটুয়ায় 

22)“ এর আগেরবার সৌখী জেল থেকে এনেছিল ” – 
[A]একটি থালা 
[B] একটি জামা 
[C]একটি কম্বল 
[D]একটি চাদর 

Show Ans

Correct Answer:[C]একটি কম্বল 

23)জেলে থাকাকালীন সৌখীর ডিউটি ছিল— 
[A]গুদামে 
[B]রান্নাঘরে 
[C]বাগানে 
[D]খামারে 

Show Ans

Correct Answer:[A]গুদামে 

24)দোকানদার নগদ কত দামে সৌখীর মায়ের কাছ থেকে পেশকারের ঘটিটি কিনেছে ? 
[A]চোদ্দো আনায়
[B] বারো আনায় 
[C]দশ আনায়
[D]ষোলে আনায়

Show Ans

Correct Answer:[A]চোদ্দো আনায়

25)ডাকাতের মায়ের ছেলের নাম কী ? 
[A]সৌখী 
[B]মহিম 
[C]সাদিয়া 
[D]রহিম 

Show Ans

Correct Answer:[A]সৌখী 

ডাকাতের মা গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর SAQ

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ১) ডাকাতের মা  ( সতীনাথ ভাদুড়ী  ) কবিতার  প্রশ্ন উত্তর – একাদশ বাংলা সাজেশন ২০২৩ – Class xi Bengali Suggestion 2023

 
১)’হাতি পাঁকে পড়লে ব্যাঙও  লাথি  মারে ” -কথাটির তাৎপর্য লেখ। 
 
উত্তরঃসতীনাথ ভাদুড়ির লেখা ‘ডাকাতের মা’ গল্পের অন্তর্গত উদ্ধৃত অংশটির অর্থ হল – ক্ষমতাশালী ব্যক্তি বিপদে পড়লে ব্যাঙের মতো সাধারণ মানুষও লাথি  মারে।  
 
 
২)”চোরাই মাল জেনেই কিনেছিস”- কে কাকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করে ?
 
উত্তর: সতীনাথ ভাদুড়ীর লেখা ‘ডাকাতের মা’ গল্পের মাতাদিন পেশকার সাহেব বাসনের দোকানদারকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করে।
 
৩)”আমি ঘটি চুরি করেছি কাল রাত্রে”- কে কাকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করে?
 
উত্তর: সতীনাথ ভাদুড়ীর লেখা ‘ডাকাতের মা’ গল্পে সৌখী   দারোগাকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করে।
 
৪) “তার আসল দরকার অপরাধী কে নিয়ে”- একথা বলার কারণ কী?
 
উত্তরঃ দারোগাবাবু ন্যায়-অন্যায় বোঝেন না, সত্য-মিথ্যা যাচাই করেন না। তার দরকার শুধুমাত্র আসল অপরাধীকে নিয়ে । কিন্তু তিনি জানেন না আসল অপরাধী সৌখী নন।

৫)“ তাই বেশি রেমিশন পেয়ে গেলাম । ” বেশি রেমিশন পাবার কারণ কী ? 

উত্তর: সৌখী জেলে থাকার সময় হেড জমাদারকে ঘুষ দেয় এবং জমাদার জেলরের কাছে তার হয়ে সুপারিশ করেন । এই সুপারিশের কারণে সৌখী লাটসাহেবের কাছে প্রশংসিত হয় । একারণেই সৌখী বেশি রেমিশন পায় । 

৬)“ ভোরে উঠেই কি ছেলেকে বলা যায় ” —ছেলেকে কী বলা যায় না ?

উত্তর: সৌখী দীর্ঘদিন ধরে জেল খেটে বাড়ি এসেছে । ভোরে ওঠেই একথা বলা সমীচীন হবেনা সৌখী পয়সা দিলে তার মা খাবারের ব্যবস্থা করবে । 

৭)“ আইনের ধারায় স্পষ্ট লেখা আছে । ” কী স্পষ্ট লেখা আছে ?

উত্তর: সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ ডাকাতের মা ’ গল্পে উদ্ধৃতাংশে বলা হয়েছে চুরির খবর পুলিশকে না জানালে তার পরিণামে জেলও হতে পারে । 

৮)“ সেই হয়েছে বুড়ির মস্ত ভাবনা । ” বুড়ির মস্ত ভাবনা কী ? 

উত্তর: সৌখী দীর্ঘদিন জেল খেটে বাড়ি ফিরেছে । সৌখীকে তার মা কী খেতে দিবে — এটাই ছিল তার কাছে মস্ত ভাবনা ।

৯)“ ঘটি দেখেই তার খটকা লাগল । ” কার খটকা লাগল ? 

Ans: ‘ ডাকাতের মা ’ গল্পে প্রশ্নোধৃত অংশে ঘটি দেখে মাতাদীন পেশকারের খটকা লাগল । 

১০)“ নিজের হাতে নিজের জিব কেটে ফেলেছিল । ” কে , কেন জিব কেটে ফেলেছিল ? 

উত্তর: সৌখীর বাবা যে দলের ডাকাতি করতো তাদের মধ্যে একজন আহত হয় , পুলিশ তাকে জেরা করতে পারে ভেবে সে নিজের জিব কেটে ফেলে । 

১১)বছরখানেক পরে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সৌখী কী করবে বলে মায়ের ধারণা হয়েছিল ?

উত্তর: সৌখীর মায়ের ধারণা হয়েছিল বছরখানেক পরে জেলখানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সৌখী তার বউকে রুপোর গয়নায় মুড়িয়ে দিয়ে পাড়ার লোকদের দেখিয়ে দেবে সৌখীর মায়ের নাতি পথের ভিখারি নয় । 

১২)“ঘটি দেখেই তার খটকা লাগল।”—কার খটকা লাগল? খটকা দূর হল কীভাবে? 

উত্তর: দোকানদারের দেওয়াঘটিটি দেখেমাতাদিন পেশকারের খটকা লাগল।

চোখে চশমালাগানাের পর মাতাদিন যখন ঘটিটিরনীচেতার নিজের ঘটিটি মতােই তারাচিহ্ন আঁকা রয়েছে দেখতে পেলেন, তখনই খটকা দূর হল তার।

১৩) “লােটা হল বাড়ির লক্ষ্মী”—এ কথা কে, কাকে বলেছিল? 

উত্তরঃ মাতাদিন পেশকারের স্ত্রী তাকে এ কথা বলেছিল।

১৪) “পেশকারসাহেব বড়াে খুঁতখুঁতে।”—কী ব্যাপারে? 

উত্তর: পেশকারসাহেব তার ললাটা সম্বন্ধে খুব খুঁতখুঁতে, খুরাে-দেওয়া বড়াে সাইজের মুখের লােটার জন্যই তঁার এই খুঁতখুঁতে স্বভাব। 

১৫)”ডাকাতের মায়ের ঘুম পাতলা না হলে চলে না”- কেন ?
 
 
উত্তরঃ-যেকোনো সময় দলের লোক টাকা দিতে আসতে পারে অথবা পুলিশ আসতে পারে এমনকি হঠাৎ তার ছেলেও বাড়ি ফিরতে পারে। তাই ডাকাতের মায়ের ঘুম পাতলা হওয়া চাই।

ডাকাতের মা গল্পের  রচনাধর্মী বড় প্রশ্ন উত্তর (LAQ )

রচনাধর্মী বড় প্রশ্ন উত্তর (প্রশ্নমান – ৫)  ডাকাতের মা  (সতীনাথ ভাদুড়ী ) গল্পের প্রশ্ন – উত্তর। একাদশ শ্রেণীর  বাংলা সাজেশন ২০২৩ – Class xi  Bengali Suggestion 2023

১)ডাকাতের মা’ ছোটোগল্প অবলম্বনে সৌখীর মায়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করাে।                                      ৫

উত্তরঃ ‘ডাকাতের মা’ ছােটোগল্পের প্রধান চরিত্র সৌখীর মা চরিত্রটির বৈশিষ্ট্যগুলি হল-

গভীর পুত্রস্নেহ: পুত্রের চিন্তাভাবনা, আচার-আচরণের প্রতি সৌখীর মার যেমন পূর্ণ সমর্থন ছিল, তেমনি মেজাজি ডাকাত সর্দারের মা হিসেবে তার যথেষ্ট গর্বও ছিল।  পুত্রের প্রতি তার গর্ব বোধ  ও স্নেহ—দুই-ই প্রবল ছিল বলেই পুত্রকে সে নিজের দুর্বিষহ দারিদ্র্যের কথা যেমন জানাতে পারেনি, তেমনই তাকে আলুচচ্চড়ি-ভাত খাওয়াতে ছিঁচকে  চুরির মতাে মর্যাদা হানিকর কাজে হাত দিতেও কুণ্ঠাবােধ করেনি।

পুত্রবধূর প্রতি স্নেহপরায়ণতা: দুর্বল চেহারার পুত্রবধূর উপযুক্ত পরিচর্যার জন্য সে বাধ্য হয়েই নাতি-সহ বউমাকে তার বেয়াই বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিল।

শ্রমশীলতা; সৌখীর মা অত্যন্ত পরিশ্রমী মহিলা ছিল। তাই সৌখীর অনুচররা তার জেলে যাওয়ার দুবছর পর টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিলে সে বাড়ি বাড়ি খই-মুড়ি বিক্রি করে নিজের পেট চালিয়ে নিয়েছে।

পুরুষতন্ত্রে বিশ্বাসী : নিরক্ষর সৌখীর মা পুরুষের আধিপত্যকে শিরােধার্য করে নিয়েছিল। তাই সে বলে, “বাপের বেটা, তাই মেজাজ অমন কড়া।” পুত্রের প্রহার বা শাসানিও তাই তাকে বিচলিত করেনি।

বাস্তব বুদ্ধি: সৌখীর মার যথেষ্ট বাস্তববুদ্ধি থাকার জন্য দীর্ঘদিন পর ছেলে বাড়ি ফিরলে সেই মুহূর্তেই সে তার ছেলেকে তার ডাকাত-অনুচরদের স্বার্থপরতার কথা অথবা তার স্ত্রী-পুত্রের অসুস্থতার কথা জানায়নি। এসব সত্ত্বেও তার একটা আবেগতড়িত ভুল সিদ্ধান্তের জন্যই গল্পটি বিষাদময় পরিসমাপ্তির দিকে এগিয়ে গিয়েছে।

২)..ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে সে।”-কে ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে? ‘কলঙ্ক’ শব্দটি ব্যবহারের কারণ কী?  ১+ ৪ 

উত্তরঃ সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ডাকাতের মা’ ছােটোগল্প থেকে সংকলিত এই উদ্ধৃতিটিতে ডাকাত  সর্দার সৌখীর মায়ের ‘ছেলের নামে কলঙ্ক’ আনার কথা বলা হয়েছে।

জেল থেকে হঠাৎ বাড়ি ফিরে আসা ছেলে ডাকাতসর্দার সৌখীকে পরদিন সকালে খাওয়ানাের জন্য তার  মা ভােররাতে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে লােটা চুরি করে। কিন্তু সকালবেলাতেই সেই ছিঁচকে চুরির সাক্ষী প্রমাণ-সহ পুলিশের আগমন ঘটলে লজ্জায় ও অপমানে ‘বুড়ির বুক কেঁপে ওঠে। এই সময় সবকিছু অনুধাবন করে সৌখী যখন মাকে বাঁচাতেছিঁচকে  চুরির দায় নিজের ঘাড়ে নেয়, তখনই সৌখীর মা এই কথা বলে ভেঙে পড়ে, …ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে সে।” 

ডাকাতসর্দারের বিধবা স্ত্রী এবং ডাকাতসর্দারের মা হিসেবে সৌখীর মা গর্বিতই ছিল। কারণ সে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে, “ডাকাতি করা তার স্বামী-পুত্রের হকের পেশা। সে তাে মরদের কাজ ,গর্বের জিনিস। জেলে যাওয়া সেক্ষেত্রে দুরদৃষ্ট মাত্র। তা ছাড়া, তার পুত্র ডাকাতসর্দার হিসেবে এতটাই গর্বিত ছিল যে, কারাবাসকালে সে কখনও ছিঁচকে  ‘কদুচোর’দের সঙ্গে, এমনকি ছােটোখাটো অপরাধীদের সঙ্গেও পারতপক্ষে কথা বলত না। তার নামে চৌকিদারসাহেব কাঁপে ’, দারােগাসাহেব পর্যন্ত তাকে ‘তুইতােকারি করতে সাহস করেননি কোনােদিন। ছেলের সেই উচ্চ ভাবমূর্তি তার দোষে কালিমালিপ্ত হয়েছিল বলেই ‘ডাকাতের মা’ ‘কলঙ্ক’ শব্দটি ব্যবহার করেছে।

৩)“এতক্ষণে বােঝে সৌখী ব্যাপারটা।”—কোন্ ব্যাপারটার কথা বলা হয়েছে? সে কীভাবে এই ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিল, তা আলােচনা করাে।                                                                                                                           ১+৪ 

উত্তরঃ সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ডাকাতের মা’ গল্পের সৌখীর মা যে চোদ্দো আনা পয়সার জন্য লােটা চুরি করেছে—সেই ব্যাপারটাই সৌখী বুঝতে পেরেছিল। 

ডাকাতসর্দার সৌখী জেল থেকে প্রায় পাঁচ বছর পর, নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই ছাড়া পেয়ে একদিন রাতে তার বাড়ি ফিরে আসে। তার স্ত্রী এবং না দেখা শিশুপুত্র তার শ্বশুরবাড়িতে থাকায় তার বিধবা মার সঙ্গেই কেবল দেখা হয়। সে রাতে খাওয়া দাওয়া করে সে তার বিধবা মাকে জেল থেকে আনা নতুন কম্বলটা দিয়ে নিজে মার পুরােনাে কম্বলটা নিয়ে শুয়ে পড়ে অনেক বেলা অবধি ঘুমােনাের ইচ্ছা নিয়ে। কিন্তু সকালবেলায় হই-হট্টগােল শুনে সে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখে যে, তার মা পাড়ার মাতাদিন পেশকারের লােটা চুরির করাতে পেশকারসাহেব বাসন-বিক্রেতাকে এবং থানার দারােগাসাহেবকে নিয়ে তাদের বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়েছেন। তার মা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় এতটাই হতবুদ্ধি হয়ে যায় এবং ডাকাতসর্দারের মা হয়েও লােটাচুরির অভিযােগে এতটাই লজ্জিত হয়ে পড়ে যে, চুরির অভিযােগ অস্বীকার করতে পর্যন্ত ভুলে যায়। দারােগাসাহেব একটা লােটা দেখিয়ে যখন সৌখীর মাকে সেটি বাসনওয়ানাকে চোদ্দো আনায় বিক্রি করার কথা জিজ্ঞাসা করে, তখন সৌখীর মায়ের মুখ থেকে কোনাে কথা বেরােয় না। শুধু একবার ছেলে সৌখীর দিকে তাকিয়ে মাথা হেঁট করে নেয় সে। এসবকিছু দেখেশুনেই সৌখী সমস্ত ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিল৷

৪)“কিন্তু আজ যে ব্যাপার অন্য।”—কোন্ দিনটার কথা বলা হয়েছে? সেদিনের অন্য ব্যাপারটির পরিচয় দাও। ১+৪ 

উত্তরঃ সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ডাকাতের মা’ ছােটোগল্পে সৌখীর মা যেদিন ভোররাতে ঘটি চুরি করেছিল, সেই দিনটার কথাই এখানে বলা হয়েছে। 

 জেল থেকে হঠাৎ ছাড়া পেয়ে সৌখী গভীর রাতে ফিরে আসে। পরদিন সকালে ছেলেকে কী খেতে দেবে, বাড়িতে সেই চিন্তায় বিছানায় শুয়ে অস্থির হয়ে পড়ে সৌখীর কপর্দকশূন্য মা। সকালে সৌখীকে তার প্রিয় আলুচচ্চড়িসহ ভাত খাওয়াতে হলে যে আলু, চাল, তেল—সবই তাকে কিনতে হবে। তাই নিরুপায় হয়ে সৌখীর মা মাঝরাতে প্রতিবেশী মাতাদিন পেশকারের দরজার বাইরে থেকে তার দামি ঘটিটা চুরি করে ভােরবেলা বাসনের দোকানে সেটি চোদ্দো আনা পয়সায় বিক্রি করে দেয়। সকালে যখন সৌখী বিছানায় নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিল এবং তার মা উনুনে আলুচচ্চড়ি চাপিয়েছিল—তখনই সেই বাসনওয়ালা এবং পেশকারসাহেব-সহ দারােগা-পুলিশ এসে উপস্থিত হয় তাদের বাড়ি। তাদের দেখে বুড়ির বুক কেঁপে ওঠে। ডাকাতসর্দারের বিধবা স্ত্রী এবং ডাকাতসর্দারের মা হিসেবে পুলিশকে তার ভয় পাওয়ার কারণ নেই। এর আগে অনেকবারই পুলিশ তাদের বাড়ি হানা দিয়েছে। কিন্তু আজ তার ছিঁচকে চুরির কারনে  বাড়িতে পুলিশের আগমন ঘটেছে। তাই সেই দিনটিতে পুলিশ দেখে নিজের ও পরিবারের সম্মান হারানাের ভয়ে বুক কেঁপে উঠেছিল বুড়ির।

৫ )”দিনকালই পড়েছে অন্যরকম!”—বক্তার এ কথা বলার কারণ আলােচনা করাে।

উত্তরঃ সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ডাকাতের মা ছােটোগল্প থেকে গৃহীত এই উদ্ধৃতিটি।প্রকৃতপক্ষে ডাকাতসর্দার সৌখীর মায়ের ভাবনা। সৌখীর মা শীতের রাতে বিছানায় একা একা শুয়ে তার মন্দভাগ্যের কথা ভাবছিল। নানা কথা ভাবতে ভাবতে প্রশ্নে উদ্ধৃত ভাবনাটি তার মনে আসে। সৌখীর অনুচরদের আচরণের ফলেই ‘ডাকাতের মা’ এমন ভাবনা ভাবতে বাধ্য হয়েছে। সৌখীর বাবার আমলের এক ডাকাত যখন আহত হয়ে ধরা পড়ে, তখন সে নিজের হাতেই নিজের জিভ কেটে ফেলেছিল—যাতে দলের গােপন কথা তার মুখ বেরিয়ে না যায়। সৌখীর দলে কিন্তু এমন বিশ্বাসী এবং দল-অন্ত-প্রাণ অনুচর নেই। সে কারণেই সৌখীকে বারংবার দরজায় সাংকেতিক টোকা দেওয়ার নিয়মাবলি পালটাতে হত। দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে সৌখী শেষবারের মতাে জেলে গেলে তার অনুচররা প্রথম দুবছর নিয়মমতাে তার মাকে মাসে মাসে টাকা পাঠালেও তারপর থেকে তারা বেপাত্তা হয়ে যায়। সৌখীর বাবার আমলে এমনটা কল্পনাও করা যেত না। এমনকি সৌখীর আমলেও এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি। তখন মাস শেষ হওয়ার আগেই, কখনাে-বা তিন-চার মাসের আগাম টাকাও দিয়ে যেত তারা। দুঃখদারিদ্রে জর্জরিত,একাকী প্রৌঢ়া বিধবা তাই হতাশ হয়েই এমন ভাবনায় ভাবিত হয়েছেন।

৬) *” এ কী কম দুঃখের কথা।”~~-প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বক্তার এ কথা বলার কারণ আলােচনা করাে।

উত্তরঃ প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ডাকাতের মা’ ছােটোগল্প থেকে উধৃত এই উক্তিটি  করেছে ডাকাতসর্দার সৌখীর মা।

প্রায় পাঁচ বছর হয়ে গেছে সৌখী জেলে বন্দি। অভাবের তাড়নায় নাতি ও বউমাকে বেয়াই বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হয় সৌখীর মা | নিঃসঙ্গ বিধবা সৌখীর মায়ের বেশ কিছুদিন ধরেই রাতে ভালাে ঘুম হচ্ছিল না। এমনিতেই শীতকালে আপাদমস্তক কম্বল মুড়ি দিয়ে না শুলে তার ঘুম হত না। বেশ কয়েক বছর আগে এমনই এক শীতের রাতে সে যখন আপাদমস্তক কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমােচ্ছিল, তখন তার ছেলে সৌখী ‘কোথা থেকে রাতদুপুরে’ ঘরে ফিরে দরজায় সাংকেতিক টোকা দিলেও তার মায়ের কানে সে শব্দ পৌঁছােয়নি| দরজা খােলার পর প্রচণ্ড কুদ্ধ হয়ে ছেলে সৌখী মাকে খুব মারধর করে। সৌখী শাসানি দিয়ে বলে যে, সে যদি আর কখনও অমনভাবে নাকমুখ ঢেকে তার মাকে ঘুমােতে দেখে, তবে তাকে খুন করে ফেলবে। এই ঘটনায় ছেলের সম্পর্কে মার মন্তব্য ছিল “বাপের বেটা, তাই মেজাজ অমন কড়া।” কিন্তু বিগত পাঁচ বছর ধরে তার রাগী ছেলে সৌখী জেলে থাকায়, আপাদমস্তক কম্বল মুড়ে নাক ডেকে ঘুমােলেও তাকে বকুনি দেওয়ার মতাে লােক আর তার বাড়িতে নেই। বাড়িতে তাকে শাসন করার মতাে কোনাে আপনজন নেই— এটাই তার দুঃখের কারণ।

একাদশ শ্রেণীর বাংলা ‘কর্তার ভূত’ গল্পের প্রশ্ন উত্তরের জন্য এখানে ক্লিক করুন।  

একাদশ শ্রেণীর বাংলা ‘ বাড়ির কাছে আরশিনগর ‘ কবিতার প্রশ্ন উত্তরের জন্য এখানে ক্লিক করুন। 

1 thought on “ডাকাতের মা গল্পের MCQ ছোট বড় প্রশ্ন উত্তর”

  1. I was very happy to uncover this great site. I need to to thank you for your time for this particularly wonderful read!! I definitely loved every little bit of it and I have you book marked to see new information on your web site.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *