উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ইতিহাসের সাজেশন ২০২৩

HS VASHAR ITIHAS

উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ইতিহাসের সাজেশন ২০২৩।উচ্চ  মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ইতিহাসের প্রশ্ন উত্তর প্রিয় ছাত্র ছাত্রীরা তোমরা যারা ২০২৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে ,তাদের কাছে বাংলা বিষয়ের ভাষার ইতিহাস একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টপিক। আমাদের PARIKSHAPRASTUTI .ORG এক্সপার্ট টিম উচ্চ মাধ্যমিক  সিলেবাসের ৪টি অধ্যায় থেকে যে প্রশ্ন ১০ টি ২০২৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মানে করেছে , তা নিচে প্রশ্ন উত্তর আকারে আলোচনা করা হলো। আশা করি তোমরা অবশ্যই কমন পাবে। তোমাদের প্রস্তুতি কেমন হচ্ছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানতে পারো।উচ্চ  মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ইতিহাসের প্রশ্ন উত্তর 

HS BANGLA ভাষার ইতিহাস প্রথম অধ্যায়ঃ ভাষা বিজ্ঞান ৫ নাম্বারের প্রশ্ন-উত্তর সাজেশন ২০২৩

  1. ভাষাবিজ্ঞান বলতে কী বোঝো ? ভাষাবিজ্ঞানের বহুল প্রচলিত শাখাগুলির নাম উল্লেখ করো এবং সংক্ষেপে যে কোনো দুটি শাখার পরিচয় দাও ।

Ans: ভাষাবিজ্ঞান হলো ভাষার বিজ্ঞান অর্থাৎ ভাষা নিয়ে বিজ্ঞান সমস্ত আলোচনা করে যে গ্রন্থ থেকে তাকে বলে ভাষাবিজ্ঞান ।

 ভাষাবিজ্ঞানের আলোচনা নানান রকমের হতে পারে । কিন্তু তার মধ্যে বহুল প্রচলিত শাখা গুলি হলো তিনটি ।

যথা ( ক ) তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান । ( খ ) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান । ( গ ) বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞান । 

তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান : তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান এর সূত্রপাত করেছিলেন স্যার উইলিয়াম জোস । ১৭৮৬ সালে কলকাতার রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি তৃতীয় বার্ষিক প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে প্রদত্ত ভাষণে তুলনামূলক ভাষা তত্ত্বের উপরে আলোকপাত করেন । ভারতবর্ষের সঙ্গে ইউরোপের সম্পর্ক সূত্র সন্ধানে উইলিয়াম জোন্স ভাষাকে একমাত্র মাধ্যম রূপ দেখেছিলেন । তার মনে হয়েছিল ইন্দো – ইউরোপীয় ভাষার বিজ্ঞান এর উৎপত্তি হয়েছিল সংস্কৃত , গ্রীক , লাতিন ইত্যাদি থেকে । 

সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় লেখেন ‘ The Origin and Development of the Bengali Language ‘ বা ODBL নব্য ভারতীয় আর্যভাষার তুলনামূলক অভিধান রচনা করেন R.L. TARNANE . তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বের কাজ হলো

 ( ক ) সমগোত্রজ ভাষাগুলির মধ্যে তুলনা করা । ( খ ) মূল ভাষাকে ভাষাপূর্ণ নির্মাণ করা । ( গ ) বিভিন্ন ভাষার মধ্যে সাদৃশ্য চিহ্ন করা ।

ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান : ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় কোনো প্রচলিত রূপ ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান । থেকে আধুনিক রূপ পর্যন্ত ধারাবাহিক বিবর্তনের রূপরেখা আলোচিত হয় তাকে বলে এইতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান ।

তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সঙ্গে এই শাখার পার্থক্য বেশ সুস্পষ্ট । তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান যেখানে বিভিন্ন শাখার মধ্যে তুলনা করে সেখানে ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা কীভাবে বিভিন্ন স্তর যেমন- পালি , প্রাকৃত , অপভ্রংশ , অবহট্টের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষা জন্ম নিয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করে । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাষার যে বিবর্তন হয় এবং সেই বিবর্তনের ফলে যে পরিবর্তন ভাষার সংগঠনে দেখা যায় তা নির্দেশ করাই ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের কাজ । বিশেষ করে শব্দ ও পদমধ্যস্থ ধ্বনি পরিবর্তন ভাষার কালগত রূপান্তরের অন্যতম কারণ । ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান এই ধ্বনি পরিবর্তনের কারণ ও বিভিন্ন ধরনের ধ্বনিপরিবর্তন যে ভাষার মধ্যে ক্রিয়া করে তা অনুসন্ধান করে । 

  1. ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাগুলির উল্লেখ করে যে কোনো একটি শাখার আলোচনা করো ।

Ans: ভাষাবিজ্ঞানের মূল আলোচনার বিষয় হলো মানুষের ভাষা এবং সেই সঙ্গে মানবজীবনের বিভিন্ন দিকের পারস্পরিক সম্পর্ক ।
এই ভাষাবিজ্ঞানের প্রধান দুই শাখা হল:
(ক) প্রধান ভাষাবিজ্ঞান এবং
(খ) ফলিত ভাষাবিজ্ঞান ।

  ভাষার সঙ্গে সমাজের সম্পর্ক এবং ভাষার সঙ্গে অন্যান্য বিদ্যার সম্পর্ক ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখায় বিচার বিশ্লেষণ করা হয় , তাই হলো ফলিত ভাষাবিজ্ঞান । ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের ছটি শাখা । যথা- ( ক ) সমাজ ভাষাবিজ্ঞান ( খ ) মনোভাষাবিজ্ঞান ( গ ) স্নায়ু ভাষাবিজ্ঞান ( ঘ ) নৃ ভাষাবিজ্ঞান ( ঙ ) শৈলিবিজ্ঞান ( চ ) অভিধান বিজ্ঞান ।

সমাজ ভাষাবিজ্ঞান : একই অঞ্চলের মধ্যে বসবাসকারী একই ভাষা গোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে সামাজিক অবস্থান ভেদে কথার যে তারতম্য লক্ষ্য করা যায় তাকেই সমাজ ভাষা হিসেবে চিহ্নিত করা হয় । যে শাস্ত্র এই সমাজভাষা নিয়ে আলোচনা করে তাই হলো সমাজ ভাষাবিজ্ঞান । বর্তমানে সমাজ ভাষবিজ্ঞান ভাষাবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখারুপে চিহ্নিত হয়েছে । ফিশম্যান সমাজ ভাষাবিজ্ঞানের তিনটি ক্ষেত্র নির্দেশ করেছেন । সেগুলি হলো- বর্ণনামূলক , প্রয়োগমূলক ও বিবর্তনশীল । বর্ণনামূলক সমাজ ভাষাবিজ্ঞানের মধ্যে বক্তা , শ্রোতা ও উপলক্ষ্যের দিকটি প্রধানত আলোচনা করা হয় । বিবর্তনশীল সমাজ ভাষা বিজ্ঞানে ইতিহাসের দিক থেকে সমাজ ভাষার উদ্ভব । বিবর্তন এবং ব্যবহারের দিকটি আলোচিত হয় । প্রয়োগমূলক সমাজ ভাষাবিজ্ঞানে সামাজিক কল্যাণ সাধনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে সমাজ ভাষার ব্যবহারের দিকটি বিশ্লেষিত হয় । এছাড়াও মাতৃভাষার প্রয়োজনীয়তা শেখানোর উন্নত পদ্ধতি , ভাষা শিক্ষার আবশ্যিকতা , অনুবাদ নীতি – নির্ধারণ প্রভৃতি দিক নিয়ে আলোচনা করা হয় ।

HS BANGLA ভাষার ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ ধ্বনিতত্ত্ব ৫ নাম্বারের প্রশ্ন-উত্তর সাজেশন ২০২৩

(১).ধনীমূল সম্পর্কে একটি সংকিপ্ত ধর্ণা দাও।

অথবা

ধ্বনি মূল এবং সহ ধ্বনির মধ্যে সম্পর্ক লেখ।

Ans. ধ্বনিতত্বের দুটি গুরুত্ব পূর্ন ধারণা হল -ধ্বনিমূল এবং সহ ধ্বনি। মানুষ যে ধনী উচ্চারণ করে তাকে বলে বাকধ্বনি বা স্বন। বাকযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত যত বাকধ্বনি বা স্বন আমরা শুনতে পাই ,তাদের সব গুলোই যে ভাষার অর্থ প্রকাশে ভূমিকা নেবে এমন নয় । এক এক রকমের ভাষা এক এক রকমের তাৎপর্য গ্রহণ করে। তাই বাক ধ্বনি গুলিকে সেই ভাষার ধ্বনিমূল বলে। অন্যদিকে পারিপার্শ্বিক পরিবেশে সেই ধনীমূলের উচ্চারণ ভেদ কে সহধ্বনি বলে।

ধ্বনিমূলের সঙ্গে সহ ধ্বনির সম্পর্ক :-

(ক)প্রতিটি ধনীমূল হল এক একটি ধ্বনি পরিবার সহধ্বনি সেই পরিবারের সদস্য। তাই তাদের সঙ্গে উচারণগত মিল থাকবে ,পরস্পরের সঙ্গে পরিপূরক অবস্থান থাকবে।

(খ)ধ্বনিমূল হল একটি কল্পনা ,যার বাস্তব উপলদ্ধি হল সহ ধ্বনি।

(গ)ধ্বনিমূল ভাষার অর্থের তফাৎ করতে পারে ,কিন্তু সহ ধ্বনি অর্থের তফাৎ করতে পারে না।

(২)উদাহরণ সহ গুছ ধ্বনি এবং যুক্ত ধ্বনির পরিচয় দাও।

Ans: শব্দের মধ্যে পাশাপাশি অবস্থিত দুটি ব্যঞ্জনধ্বনির সমাবেশ ঘটলে তাকেই গুচ্ছধ্বনি বলে । লক্ষ্যণীয় এ ক্ষেত্রে গুচ্ছধ্বনি ভুক্ত ব্যঞ্জনগুলি সব সময়েই আলাদা দলভুক্ত হয় । প্রথমটি পূর্ববর্তী দলে এবং শেষেরটি পরবর্তী দলে যায় । যেমন অবস্থা > অ বস . থা – এখানে গুচ্ছধ্বনির ‘ স্ ’ পূর্ববর্তী ‘ ব ’ এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে আর ‘ থ ‘ পরবর্তী স্বরধনি ‘ আ ’ এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে অন্য একটি দল গড়েছে । প্রায় দুশোটির বেশি গুচ্ছধ্বনি বাংলা ভাষায় আছে । এরকম গুচ্ছধ্বনির উদাহরণ হলো- শব্দ , আশ্চর্য ইত্যাদি । 

  অন্যদিকে ব্যঞ্জনধ্বনির একত্র সমাবেশ যদি শব্দের শুরুতে হয় তাকে বলে যুক্তধ্বনি । যুক্তধ্বনির সঙ্গে গুচ্ছধ্বনির প্রধান পার্থক্য হলো যুক্তধ্বনির ব্যঞ্জনগুলি কখনোই আলাদা দলে বিভাজিত হয় না । প্র , ত্রু , স্ত , দ্র- এরকম ২৮ টি যুক্ত ধ্বনি বাংলায় আছে ।  

HS BANGLA ভাষার ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ঃ রূপতত্ত্ব ৫ নাম্বারের প্রশ্ন-উত্তর সাজেশন ২০২২

  1. প্রত্যয় কাকে বলে ? ব্যবহারিক প্রয়োগের অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যয়কে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ? প্রত্যেকটি ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও । 

অথবা , প্রত্যয় কাকে বলে ? প্রত্যয় কয় প্রকার ও কী কী ? প্রত্যেকটি ভাগের উদাহরণ সহ সংজ্ঞা লেখো । 

Ans: প্রত্যয় শব্দগঠনের একটি প্রক্রিয়া । শব্দমূল বা প্রকৃতির সঙ্গে প্রত্যয় যোগ করে নতুন নতুন শব্দ গঠন করা হয় ।

প্রত্যয় : যে সকল ধ্বনি বা ধ্বনির সমষ্টি পদ বা ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন ধাতু বা নতুন পদ গঠন করে , তাকে প্রত্যয় বলে । প্রত্যয় পদের পরিবর্তন করে । 

ব্যবহারিক প্রয়োগের অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যয় দু’রকম । যথা— ( ক ) কৃৎপ্রত্যয় বা ধাতু প্রত্যয় এবং ( খ ) তদ্বিত প্রত্যয় বা শব্দ প্রত্যয় । 

( ক ) কৃৎপ্রত্যয় বা ধাতু প্রত্যয় যে প্রত্যয় ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয় , তাকে কৃৎপ্রত্যয় বলে । যেমন— √ভুজ + অন ভোজন , √পূজ্ + অনীয় = পূজনীয় , √রাধ + উনি = রাঁধুনি । উদাহরণগুলিতে অন , অনীয় , উনি প্রত্যয়গুলি যথাক্রমে ভুজ্ , পূজ্ , রাধ ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্বাধীন পদ গঠন করেছে । 

( খ ) তদ্ধিত প্রত্যয়

( ক ) কৃৎপ্রত্যয় বা ধাতু প্রত্যয় যে প্রত্যয় ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয় , তাকে কৃৎপ্রত্যয় বলে । যেমন— √ভুজ + অন ভোজন , √পূজ্ + অনীয় = পূজনীয় , √রাধ + উনি = রাঁধুনি । উদাহরণগুলিতে অন , অনীয় , উনি প্রত্যয়গুলি যথাক্রমে ভুজ্ , পূজ্ , রাধ ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে স্বাধীন পদ গঠন করেছে । 

( খ ) তদ্ধিত বা শব্দ প্রত্যয় : এই জাতীয় প্রত্যয় শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয় । তদ্বিত প্রত্যয় শব্দের পদ পরিবর্তন ঘটায় । যেমন- চালাক + ই = চালাকি , মামলা + বাজ = মামলাবাজ , বাঁশি + ওয়ালা • বাঁশিওয়ালা । উপরের উদাহরণে ই , বাজ , ওয়ালা তদ্ধিত প্রত্যয় । প্রত্যয়গুলি যথাক্রমে চালাক , মামলা , বাঁশি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করেছে । 

  1. শব্দগঠনের প্রক্রিয়া বা কৌশলগুলি আলোচনা করো । 

Ans: শব্দগঠনের কৌশল বা প্রক্রিয়া ভাষাবিজ্ঞানে রূপতত্ত্বের অন্যতম আলোচনার বিষয় । রূপিম বা রূপমূল হলো শব্দগঠনের মূল উপাদান । এই রুপিম সহযোগে বাংলা ভাষায় শব্দগঠনের বিভিন্ন প্রক্রিয়া আছে , যেগুলি নিম্নে আলোচিত হলো—

  পদদ্বৈত : কোনো শব্দে একই পদ দু’বার পাশাপাশি বসলে তাকে পদদ্বৈত বলে । যেমন— দিনদিন , সকাল সকাল , হাসিহাসি , কাঁদতে কাঁদতে , এই জাতীয় পদ সমার্থক ও বিপরীত হয়ে থাকে । যেমন— কাগজপত্র , কাজকর্ম ; হাসিকান্না , ভালোমন্দ ইত্যাদি ।\

   জোড়কলম রূপ : একটি বিশেষ জাতীয় শব্দ বা শব্দাংশের সঙ্গে আর একটি পৃথক জাতীয় শব্দ বা শব্দাংশের সংমিশ্রণকে জোড়কলম শব্দ বলে । জোড়কলম রূপমূলে একাধিক রূপমূলের সমবায় থাকে । যেমন— ধোঁয়া শব্দের সঙ্গে কুয়াশা শব্দ মিলে নতুন শব্দ ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে । 

  সমাস বা যোগ করা : সমাসের অর্থ হলো সংক্ষেপ করা । এই প্রক্রিয়ায় একাধিক পদকে সংক্ষিপ্ত করা হয় , এর ফলে নতুন শব্দ গঠন হয় । যেমন— বীণাপাণি , রাজর্ষি ইত্যাদি ।

  অনুকার পদ গঠন : শব্দের সাদৃশ্য বজায় রাখার জন্য অর্থহীন শব্দযোগে এই জাতীয় পদ গঠন হয় । যেমন— ভাতটাত , চুপচাপ , জলটল ইত্যাদি । 

HS BANGLA ভাষার ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ঃ বাক্যতত্ত্ব ৫ নাম্বারের প্রশ্ন-উত্তর সাজেশন ২০২২

  1. গঠন অনুসারে বাক্যকে কটি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কী কী ? প্রত্যেক ভাগের একটি করে উদাহরণ দাও । 

Ans: একটি বাক্য গঠন করার জন্য যে খণ্ড বাক্য বা ছোটো ছোটো পদগুচ্ছের দরকার হয় , তা – ই হলো বাক্যের অব্যবহিত উপাদান । বাক্যের অব্যবহিত উপাদান হিসেবে নিম্নে বিশেষ্যগুচ্ছ এবং ক্রিয়াগুচ্ছ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ।

সরল বাক্য : যে বাক্যে একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে ,তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন – বিরাট কোহলি ব্যাট করছে। ( এখানে একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া হল -‘করছে’ )

জটিল বাক্য : যে বাক্যে একটি প্রধান খন্ডবাক্য এবং তার অধীন এক বা একাধিক অপ্রধান খন্ডবাক্য থাকে , তাকে জটিল বাক্য বলে । জটিল বাক্যে কম করে দুটি অসমাপিকা ক্রিয়া থাকবে । যেমন – তুমি যদি পরিশ্রম করো তবে সফল হবে । 

যৌগিক বাক্য : একাধিক সরল বা জটিল বাক্যের সংযোগে গঠিত বাক্যই যৌগিক বাক্য । যৌগিক বাক্যে অন্তত দুটি প্রধান খন্ডবাক্য থাকবেই এবং খন্ডবাক্যগুলি সমুচ্চয়ী অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকবে । যেমন- তুমি আসবে এবং আমার দেখা পাবে ।

  1. বাক্যের অব্যবহিত দু’টি উপাদান বিশ্লেষণ করে দেখাও । অথবা , বাক্যের অব্যবহিত উপাদান হিসেবে বিশেষ্য বা বিশেষ্যগুচ্ছ এবং ক্রিয়াজোট বা ক্রিয়াগুচ্ছ সম্পর্কে আলোচনা করো ।

Ans: একটি বাক্য গঠন করার জন্য যে খণ্ড বাক্য বা ছোটো ছোটো পদগুচ্ছের দরকার হয় , তা – ই হলো বাক্যের অব্যবহিত উপাদান । বাক্যের অব্যবহিত উপাদান হিসেবে নিম্নে বিশেষ্যগুচ্ছ এবং ক্রিয়াগুচ্ছ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ।

 বিশেষ্যজোট বা বিশেষ্যগুচ্ছ : বিশেষ্য জোট বাঁধে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ঘিরে । এই জোটে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ বাদ দিলে আর যে সমস্ত সদস্য থাকে তাদের ক্ষমতা থাকে না । তাদের কাজ জোটের কলেবর বৃদ্ধিতে কাজে লাগা । যেমন– ( ক ) শুধুমাত্র রাবণ ; ( খ ) ওই লম্বা লোকটা । 

এখানে ‘ রাবণ ’ এবং ‘ লোকটা ’ বিশেষ্য পদ । এই বিশেষ্য পদগুলির সঙ্গে সর্বনাম পদ যোগে বিশেষ্যজোট গঠন করা হয় । যেমন— প্রথম উদাহরণটিকে বলা যায়— শুধুমাত্র পবিত্র , সাহসী , বীর , সংগ্রামী রাবণ মৃত্যুভয়কে জয় করতে পারে । এভাবে জোটের আয়তন বাড়ানো যায় । 

ক্রিয়াজোট বা ক্রিয়াগুচ্ছ : ক্রিয়া কাল প্রতিফলিত করে । ভাষার সবচেয়ে জটিল বিষয় ক্রিয়ার দ্বারা প্রতিফলিত হয় , তাই ক্রিয়ার জোট বাঁধা একটি জটিল বিষয় । অন্যান্য পদের তুলনায় ক্রিয়ার রূপবৈচিত্র্যও বেশি । বিশেষ্য জোটের পরে ক্রিয়াজোট অবস্থান করে । উদাহরণ— রহিম খায় , রহিম খাচ্ছিল , রহিম খেয়ে ফেলল— এখানে ক্রিয়াজোটগুলি বিশেষ্যজোটের পরে হয়েছে । উদাহরণটিতে প্রতিটি ক্ষেত্রেই মূল ক্রিয়াপদ ‘ খাওয়া ’ – র সঙ্গে কাল ও পুরুষ যোগে ক্রিয়াজোট গঠিত হয়েছে ।

3. বাক্যের অধো গঠন এবং অধিগঠন সম্পর্কে আলোচনা করো।

Ans. আধুনিক ভাষা বিজ্ঞানের চর্চায় বাক্য বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারণা হল – বাক্যের অধো গঠন এবং অধি গঠন। অধোগঠন বা অন্তর্গঠন কে ইংরেজিতে বলা হয় Deep Structure এবং অধিগঠন বা বহির্গঠনকে ইংরেজিতে বলা হয় Surface Structure .

বাক্য গঠনের এই দুই ধারণার প্রবক্তা হলেন নোয়াম চমস্কি। তার মতে , প্রতিটি বাক্যের দুটি স্তর থাকবেই –একটি অন্বয়গত গঠনের স্তর অর্থাৎ বাক্যের বাইরের রূপ এবং অন্যটি অর্থের স্তর বা বাক্যের ভিতরের রূপ। সুতরাং অধিগঠন হল বাক্যের অন্বয়গত গঠনের স্তর।

উদাহরণের মাধ্যমে বাকের অধোগঠন এবং অধিগঠন বিষয়টি আলোচনা করা হল-

(ক)বিমল পড়াশুনা করতে বিদ্যালয় যায়। (অধিগঠন )

(খ) বিমল পড়াশুনা করতে চায় বলে বিদ্যালয় যায়। (অধোগঠন)

**********একাদশ শ্রেণীর আরো প্রশ্ন-উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন *****************

**********দ্বাদশ শ্রেণীর আরো প্রশ্ন-উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন। ***************

*********দশম শ্রেণীর শ্রেণীর আরো প্রশ্ন-উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন।***************

********WBP এবং KP পরীক্ষার MOCK TEST দিতে এখানে ক্লিক করুন ******************

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *