১)” কর্তার ভূত “-গল্পে ভূত বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ“কর্তার ভূত”-  গল্পে ‘ভূত’ বলতে কোনো অশরীরী আত্মাকে বোঝানো হয়নি। পুরনো জরাজীর্ণ কুসঙস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতাকে ভূত বলা হয়েছে।

 ২)”ভূতের কানমলা”-   বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তরঃ কর্তার ভূত গল্পে ভুতের কানমলা বলতে প্রাচীন পন্থীদের কাছ থেকে আসা নানান অপমান ,অবমাননা ও দৈহিক শাস্তিকে বোঝানো হয়েছে।

৩)” ভয় করে যে কর্তা “- কারা কখন এ প্রশ্ন করে।

উত্তরঃদেশের মধ্যে দুই একটা মানুষ যারা গভীর রাত্রে এ কথা বলে বুড়ো কর্তাকে।

৪)রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সনাতন ঘুম বলতে কী বুঝিয়েছেন?

উত্তর-‘কর্তার ভূত’ রচনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘সনাতন ঘুম’ বলতে পরিবর্তনহীন অন্ধ সংস্কারকে চিহ্নিত করেছেন।

৫)”মোদ্দা কথাটা হচ্ছে”- মোদ্দা কথাটা কী?

উত্তরঃকর্তার ভূত গল্পে ‘মোদ্দা কথা’ বলতে বুড়ো কর্তার অবস্থান ও কৃতকর্মকে নিয়ে অর্থাৎ বুড়ো কর্তা বেঁচেও নেই মরেও নেই ,ভুত হয়ে আছে।

৬)ভূতের জেলখানার ঘানি থেকে কী বের হয় ?

উত্তরঃ ভূতের জেলখানার ঘানি নিরন্তর ঘুরে ।সেখান থেকে একফোঁটাও তেল বের হয় না । কিন্তু মানুষের তেজ বেরিয়ে যায়। 

৭)”নইলে ছন্দ মেলেনা”- ছন্দ মেলাতে কোন দুটি পঙক্তি উল্লেখ করা হয়েছে ?

উত্তরঃ“কর্তার ভূত”- গল্পে ছন্দ মেলাতে যে দুটি পঙ্ক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা হল -‘খোকা ঘুমোলো/ পাড়া জুড়োলো।”

৮)”ভুতের রাজত্বে আর কিছু না থাক শান্তি থাকে”- কেন?

 উত্তর- ভুতের রাজত্বে আর কিছু না থাকলেও শান্তি থাকে। কেননা সেখানে কেউ প্রতিবাদ করার লোক নাই ।

 

৯)”দেশের লোক ভারি নিশ্চিন্ত হল”- নিশ্চিন্ত হওয়ার কারণ কী? 

উত্তরঃরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্তার ভূত গল্পে দেশের লোক ভারি নিশ্চিন্ত হয়ে ছিল, কেননা বুড়ো কর্তার মৃত্যুর পর তিনি প্রথমে তাদের ঘাড়ে চেপে থাকবেন।

১০)কর্তার কথা শুনে সকলের অত্যন্ত আনন্দ হয় কেন?

 উত্তর -কর্তার মৃত্যুর পরেও দেশের মধ্যে থেকে যাবেন ,দেশের মানুষের কথা ভাববেন ।তাই কর্তার কথা শুনে সকলের অত্যন্ত আনন্দ হয়।

১১)“হুঁশিয়ার যারা তারাই অশুচি”— এ কথা কেন বলেছেন ?

উত্তরঃভূতগ্রস্ত অলস মানুষ যাতে সচেতন প্রাজ্ঞ মানুষের কাছে না আসে তাই একথা বলা হয়েছে।

১২)“শ্মশান থেকে মশান থেকে ঝোড়ো হাওয়ায় হা হা করে তার উত্তর আসে।”প্রশ্নের উত্তর কী আসে ?

উত্তরঃ‘কর্তার ভূত’ নামাঙ্কিত গদ্যাংশ থেকে উক্তিটি উদ্ধৃত হয়েছে। এখানে প্রশ্নের যে উত্তর আসে তা হলো আৱু দিয়ে,

ইজ্জত দিয়ে, ইমান দিয়ে, বুকের রক্ত দিয়ে খাজনা মিটিয়ে দিতে হবে।

১৩)“কী সর্বনাশ।”— সর্বনাশ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?

উত্তরঃ ভূতগ্রস্ত দেশে অনন্তকাল ধরে ভূতের শাসন ব্যবস্থাটাই বহাল থাকবে কি না- এই প্রশ্নটিকেই সর্বনাশ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

১৪)“নইলে ছন্দ মেলে না”- মেলাতে কোন দু’টি পক্তির উল্লেখ করা হয়েছে ?

উত্তরঃছন্দ মেলানোর জন্য “খোকা ঘুমোলো পাড়া জুড়ালো” পদের সঙ্গে “বর্গি এল দেশে” পঙক্তি দু’টির উল্লেখ করা হয়েছে।

১৫)মরণকালে বুড়ো কর্তার দুঃখ হলো কেন ?

উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘কর্তার ভূত’ গল্পে বুড়ো কর্তার মরার সময় হয়েছে। দেশের সবাই বুড়োকে জানাল যে,

বুড়ো মারা গেলে তাদের কী দশা হবে। এ কথা শুনেই বুড়ো কর্তার বড়ো দুঃখ হলো।