মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের ২ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

MADHYAMIK-HISTORY-3RD-CHAPTER-2MARKS

পরীক্ষা প্রস্তুতি : মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের ২ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। প্রিয় ছাত্র ছাত্রীরা তোমরা যারা ২০২৩ সালে মাধ্যমিক দেবে , PRIKSHAPASTUTI .ORG এক্সপার্ট টিমের পক্ষ থেকে প্রথমেই তোমাদের অভিনন্দন জানাই।  যাতে তোমরা বাড়িতে বসে সুন্দর ভাবে  মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারো তার জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা। এই অনলাইন MOCK TESTER মাধ্যমে তোমরা দেখে নাও মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ঃপ্রতিরোধ ও বিদ্রোহ  TOPIC এর উপর SAQ ২ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর  ২০২৩ পরীক্ষার জন্য তোমরা কতটা প্রস্তুতি নিয়েছো।  আর তোমাদের এই অনলাইন সাজেশন  কেমন লাগছে নীচের COMMENT সেক্শনে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবে।মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের ২ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের ২ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

Madhyamik history short answer questions (SAQ)

(১)ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন বলতে কি বোঝ ?

উত্তর-  ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন বলতে বুঝায় ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসনের দায়িত্ব  নেওয়ার পর চালু হওয়া অরণ্য আইন গুলিকে ।এক্ষেত্রে দুটি আইনের কথা সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য যথা  865 খ্রিস্টাব্দে অরণ্য আইন 1878 খ্রিস্টাব্দে অরণ্য আইন বলাবাহুল্য আইন দুটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন কে দুর্দশাগ্রস্ত করে তোলে।

(২)উপনিবেশিক অরণ্য আইন এর উদ্দেশ্য কি ছিল ?

উত্তর -ভারতে ইংরেজ সরকার প্রবর্তিত উপনিবেশিক অরণ্য আইন এর মূল উদ্দেশ্য গুলি ছিল এক ভারতে রেলপথ নির্মাণের উদ্দেশ্যে গুলি ছিল–

(ক) রেলের স্লিপার তৈরীর জন্য গাছ সংগ্রহ করা।

 (২) ইউরোপে  নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জাহাজ নির্মাণের জন্য কাঠের যোগান সুনিশ্চিত করা ।

(৩) বনাঞ্চল থেকে রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধি করা।

(৪) অরণ্য গুলির উপর ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব বৃদ্ধি করা।

(৩)অভ্যুত্থান বলতে কি বোঝ  ?

উত্তর -অভ্যুত্থান অভ্যুত্থান বলতে বুঝায় প্রচলিত শাসন ব্যবস্থা বা শক্তির বিরুদ্ধে কোনো শক্তির উত্থানকে। অভ্যুত্থানকে এক অর্থে বিদ্রোহ বলা যেতে পারে।

(৪)বিপ্লব বলতে কি বোঝ ?

উত্তর-বিপ্লব বিপ্লব বলতে বোঝায় কোন প্রচলিত ব্যবস্থার অতি দ্রুত কার্যকরী পরিবর্তন। যখন কোন দেশে পুরাতন তন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এমনকি চিন্তার জগতেও সর্বাত্মক পরিবর্তন ঘটে, তখন তাকে বিপ্লব বলে। যেমন ফরাসি বিপ্লব।

(৫)চুয়াড় কারা?   অথবা  কোন বিদ্রোহ চুয়াড় বিদ্রোহ নামে পরিচিত ?

উত্তর -ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে মেদিনীপুর ,বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ধলভূম এবং বর্তমান ঘাটশিলা অঞ্চলের জঙ্গলমহলে অধিবাসীদেরকে চুয়ার   বলে অভিহিত করা হতো ।ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই জঙ্গল মহল অঞ্চলের রাজস্ব বৃদ্ধি করলে চুয়াড় সম্প্রদায়ের মানুষ  বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এটি ইতিহাসে চুয়াড় বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ 1778 খ্রিস্টাব্দে ঘাটশিলার জমিদার জগন্নাথ সিং ধলের  নেতৃত্বে সংঘটিত হয়।

(৬)পাইক কাদের বলা হত? পাইকান জমি কি ?

উত্তর-পাইক,চুয়াড়রা  প্রধানত মেদিনীপুর ,বাঁকুড়া এবং ধলভূম এর  জঙ্গলমহলের অধিবাসী ছিল ।কৃষিকাজ ও পশু শিকারের পাশাপাশি স্থানীয় জমিদারদের অধীনে  সৈনিকের বা পাইকের কাজ করত। তাই এদেরকে বলা হত পাইক ।

পাইকান জমি জমিদারদের অধীনে যারা সৈনিকের কাজ বা পাইক-বরকন্দাজদের কাজ করত তাদেরকে যে জমি জমিদারেরা  নি :শুল্ক  ভোগ দখলের জন্য দিতেন।  সেই জমি গুলিকে বলা হতো পাইকান জমি।

(৭) চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ছিল?

উত্তর -1798 থেকে 1799 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সংঘটিত চুয়াড় বিদ্রোহের উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব গুলি ছিল —

 (১) ব্রিটিশ সরকার সেনাবাহিনীর সাহায্যে চুয়াড় বিদ্রোহ দমন করতে না পেরে বিদ্রোহী জমিদার’দের  সঙ্গে আপোষ করেছিল ।

(২)ব্রিটিশ সরকার চুয়াড় বিদ্রোহ প্রভাবিত এলাকা গুলি কে নিয়ে 1805 খ্রিস্টাব্দে 18 নং রেগুলেশন জারি করে জঙ্গলমহল জেলা গঠন করে । বাঁকুড়াকেজঙ্গলমহল জেলার সদর দপ্তর করা হয়।

(৮)কোল বিদ্রোহের কারণ কি ছিল?

উত্তর-ছোটনাগপুর অঞ্চলের কোলরা1831 খ্রিস্টাব্দে থেকে  1832  খ্রিস্টাব্দে এর মধ্যবর্তীসময়ে জমিদার মহাজন’ এবং অত্যাচারী ইংরেজ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যে  বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল তার প্রধান কারণ গুলি ছিল--(১) অতিরিক্ত রাজস্ব: এই  অঞ্চলের ইজারাদাররা কোলদের কাছ থেকে উচ্চহারে  রাজস্ব আদায় করত। তারা কোলদের  উপর অত্যাচার করত এবং তাদের সর্বস্ব কেড়ে নিতো। 

(২) ব্রিটিশ আইনের প্রয়োগ : ব্রিটিশ সরকার কোলদের  উপর ব্রিটিশ আইন , বিচার ও রাজস্ব সংক্রান্ত আইন কানুন প্রবর্তন করে

এর ফলে কোল্ সমাজ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয় ও তারা ক্ষুদ্ধ  হয়। কোল বিদ্রোহের দুটি গুরুত্ব  হল -কোল বিদ্রোহের শেষে সরকার ছোটনাগপুর অঞ্চল কে পৃথক রাজ্য বলে ঘোষণা করে সেখানে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলে। কোল  অধ্যুষিত অঞ্চলে জমি জরিপ করে ভূমি বন্দোবস্ত করা হয়। 

(৯)কোল বিদ্রোহের দুটি গুরুত্ব লেখ। 

উত্তর– (১)কোল বিদ্রোহের শেষে সরকার ছোটনাগপুর অঞ্চলে পৃথক ‘সীমান্ত রাজ্য ‘বলে ঘোষণা করে সেখানে প্রশাসনিক ব্যবস্থ্যা গড়ে তোলে। 

(২)কোল অধ্যুষিত অঞ্চলে জমি জরিপ করে ভূমি বন্দোবস্ত করা হয়। 

(১০)দামিন -ই -কোহ কী ?

উত্তর -দামিন-ই-কোহ কথার অর্থ হল -পাহাড়ের প্রান্তদেশ। সাঁওতালরা বিভিন্ন কারনে নিজেদের এলাকা ছেড়ে রাজমহল পাহাড়ের প্রান্তদেশে বসবাস শুরু করেছিল। তারা বহু পরিশ্রম করে এখানে জঙ্গল পরিষ্কার করে চাষবাস ও বাসযোগ্য জমি তৈরী করেছিল।সাঁওতালদের এই নতুন অঞ্চলকেই বলা হয় -‘দামিন-ই -কোহ। 

মাধ্যমিক ইতিহাস প্রথম অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রশ্ন-উত্তর

মাধ্যমিক ইতিহাস তৃতীয় অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *