প্রিয় ছাত্র ছাত্রীরা তোমরা যারা ২০২২ সালে মাধ্যমিক দেবে , PRIKSHAPASTUTI .ORG এক্সপার্ট টিমের পক্ষ থেকে প্রথমেই তোমাদের অভিননন্দন জানাই। এই করোনা পরিস্থিতিতে যাতে তোমরা বাড়িতে বসে সুন্দর ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারো তার জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা। আশা করছি তোমরা আমাদের দেওয়া সাজেশন গুলি ভালো করে পড়লে অবশ্যই মাধ্যমিকে চুড়ান্ত সফলতা লাভ করতে পারবে। আজকে তোমাদের সামনে মাধ্যমিক বাংলা গল্প ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ থেকে মাধ্যমিক ২০২২ পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্ব পূর্ন SAQ (1 MARK QUESTION AND ANSWER) প্রশ্ন-উত্তর গুলি তুলে ধরা হল –
(১). “বাবা, তোর পেটে পেটে এত।”—কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ তপনের।
(২)“বাবা, তারে পেটে পেটে এত”-কে কোন প্রসঙ্গে একথা বলেছিলেন ?
উত্তরঃ আশাপূর্ণাদেবী রচিত ‘জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপন যে একটি আস্ত গল্প লিখে ফেলেছে এবং তার ছোটো মেসো ছাপিয়ে দেবেন—তা বাড়ির কেউ বিশ্বাস করেননি, বরং তাকে নিয়ে নানারকম ঠাট্টা-তামাশা হয়েছে। অবশেষে তপনের গল্প প্রকাশিত হয়ে যাওয়ায় তার মা তাকে উপরোক্ত কথাটি বলেছিলেন।
(৩)“আর তোমরা বিশ্বাস করবে কিনা জানি না…”—এখানে কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ এক জায়গায় বসে তপনের একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলার প্রসঙ্গে উপরোক্ত মন্তব্যটি করা হয়েছে।
(৪)নতুন মেসোর কলেজে কিসের ছুটি চলছিল ?
উত্তর- গ্রীষ্মের ২
(৫)“যেন নেশায় পেয়েছে!”—এখানে কোন্ নেশার কথা বলা হয়েছে?
উত্তরঃ তপনের গল্প লেখার নিরলস চেষ্টার কথা এখানে বলা হয়েছে। হোম টাস্ক ফেলে রেখে, লুকিয়ে লুকিয়েও সে গল্প লিখে গেছে।
(৬)শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন”—তপনের সংকল্প কী ছিল ?
উত্তর –সংকল্প করেছিল যে, যদি কখনো লেখা ছাপাতে হয়, তাহলে তপন নিজে গিয়ে তা পত্রিকার অফিসে জমা দেবে।
(৭). কেন তপন হঠাৎ একটা ভয়ানক উত্তেজনা অনুভব করেছিল ?
উত্তরঃ গ্রীষ্মের নিথর দুপুরে সিঁড়িতে নিরিবিলিতে একাসনে বসে একটা আস্ত গল্প শেষ করে তপন। সেটা পড়ার পরে ভয়ানক উত্তেজনায় তপন লেখক হয়ে ওঠার। অনুভূতি অনুভব করেছিল।
(৮)“কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল।”—কোন্ কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল?
উত্তরঃ তপন তার বালক বয়সে কোনোদিন কোনো লেখককে স্বচক্ষে দেখেনি। কবি-লেখকরাও যে আমাদের মতো সাধারণ বাস্তব জগতের প্রাণী এ কথাই তপন জানত না। তাই সে যখন শুনল যে,তার সদ্যবিবাহিতা ছোটোমাসির স্বামী অর্থাৎ তার নতুন মেসো একজন লেখক—তখন বিস্ময়ে তার চোখ মার্বেলের মতো হয়ে গেল।
(৯) লেখালেখি ছাড়া তপনের নতুন মেসোর পেশা কী ?
উত্তরঃ লেখালেখি ছাড়া তপনের নতুন মেসসা কলেজের একজন অধ্যাপক।
(১০)“তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন” —দিনটিতে কোন্ উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছিল?
উত্তরঃ তপনের জীবনে প্রথমবার তার লেখা গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ নামক পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। কিন্তু ছাপার পর দেখা যায় যে, তার গল্পের অনেকাংশই লেখক মেসো সংশোধনের নামে নতুন করে লিখেছিলেন। এই ঘটনায় ব্যথিত তপনের মনে হয়েছিল, আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।