প্রিয় ছাত্র ছাত্রীরা তোমরা যারা ২০২২ সালে মাধ্যমিক দেবে , PRIKSHAPASTUTI .ORG এক্সপার্ট টিমের পক্ষ থেকে প্রথমেই তোমাদের অভিনন্দন জানাই। এই করোনা পরিস্থিতিতে যাতে তোমরা বাড়িতে বসে সুন্দর ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারো তার জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা। এই অনলাইন MOCK TESTER মাধ্যমে তোমরা দেখে নাও মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ঃসঙ্ঘবদ্ধতার গোড়ার কথা TOPIC এর উপর SAQ ২ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর ২০২২ পরীক্ষার জন্য তোমরা কতটা প্রস্তুতি নিয়েছো। আর তোমাদের এই অনলাইন লাস্ট মিনিট সাজেশন কেমন লাগছে নীচের COMMENT সেক্শনে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবে।
(১)উনিশ শতকে ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের ভারতবাসীর ক্ষোভের কারন কি ছিল ?
উত্তর– ক্ষোভের কারন : (১)অর্থনৈতিক শোষণ :- ব্রিটিশদের চরম অর্থনৌতিক শোষনের ফলে ভারতবর্ষের চিরাচরিত অর্থনৈতিক ভিত্তি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
(২)অতিরিক্ত করের বোঝা :-কৃষকদের উপর অতিরিক্ত করে বোঝা তাদের সর্বস্বান্ত করে দিয়েছিল ফলে ভারত বাসীর মনে অসন্তোষ পুঞ্জীভূত হতে থাকে।
(২)১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের প্রত্যক্ষ কারন কি ছিল ?
উত্তর – ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের পিছনে যে প্রত্যক্ষ কারন টি ছিল ,সেটি হল – তখন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এনফিল্ড রাইফের এর বাবহার ছিল। এই রাইফেলের কার্তুজ দাঁতে কেটে ভরতে হতো। কিন্তু এটা রটিয়ে দেওয়সা হয় যে, এই বন্দুকের কার্তুজ গরু এবং শুকুরের চর্বি দিয়ে তৈরী। তাই ভারতীয় হিন্দু -মুসলিম সিপাহীরা এনফিল্ড রাইফেল ব্যবহার করতে অস্বীকার করে। কিন্তু ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ ভারতীয় সিপাহীদের এই কার্তুজ ব্যবহারে বাধ্য করলে ভারতীয় সিপাহীরা বিদ্রোহ গোষণা করে।
(৩)মঙ্গল পান্ডে কে ছিলেন ?
উত্তর-ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে সিপাহী ,রাজা-মহারাজা ও জনগনের অসন্তোষকে কেন্দ্র করেও ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে বড়লাট লর্ড ক্যানিং এর শাসনকালে বিদ্রোহের সূচনা হয়। মঙ্গল পান্ডে ছিলেন এই বিদ্রোহের প্রথম শাহিদ।
(৪)আঠারোশ সাতান্ন খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে কারা জাতীয় বিদ্রোহ বলে উল্লেখ করেছেন ?
উত্তর- 1857 সালের বিদ্রোহ কে যে সমস্ত ঐতিহাসিক জাতীয় বিদ্রোহ বলে মত প্রকাশ করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ঐতিহাসিক নর্টন , হোমস ,চার্লস বল প্রমূখ।
(৫)1858 খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইন কি?
উত্তর-1857 খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের পর ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের হাতে ভারতের শাসনভার রাখতে চায় নি। ভারতে ব্রিটিশ কোম্পানির শাসনের পরিবর্তে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য 1858 খ্রিস্টাব্দে ভারত শাসন আইন চালু হয়। 1858 খ্রিস্টাব্দে ভারত শাসন আইনের উল্লেখযোগ্য দিক গুলি ছিল -এই আইনের মাধ্যমে ভারতের শাসন ক্ষমতা মহারানী ভিক্টোরিয়া হাতে তুলে দেওয়া হয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে যোগ্যতাসম্পন্ন সকল ভারতবাসী সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত হতে পারবে বলে উল্লেখ করা হয়। গভর্নর জেনারেল এর পরিবর্তে ভাইসরয় পদ তৈরি করা হয়।
(৬)মহারানীর ঘোষণাপত্র 1858 এর মূল উদ্দেশ্য কি ছিল ?
উত্তর-1857 খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ দমনের পর 1858 খ্রিস্টাব্দের 1 লা নভেম্বর মহারানী ভিক্টোরিয়ার ঘোষণাপত্র টি পেশ করা হয়। এই ঘোষণাপত্রের মূল উদ্দেশ্য ছিল- ভারতীয় জনগণকে বিশেষত রাজন্যবর্গ নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষার আশ্বাস দিয়ে তাদের আনুগত্য অর্জন করা। প্রাথমিকভাবে ঘোষণাপত্র দ্বারা ভারতীয়দের আশ্বাস দেয়া হলেও সেসব প্রতিপালন করা হয়নি।
(৭)1 858 খ্রিস্টাব্দের মহারানীর ঘোষণাপত্র দেশীয় রাজাদের প্রতি কি ঘোষণা করা হয়েছিল ?
উত্তর- 1858 খ্রিস্টাব্দেএলাহাবাদে এক দরবারে লর্ড ক্যানিং মহারানীর ঘোষণাপত্র টি পেশ করে। দেশীয় রাজাদের প্রতি এই ঘোষণাপত্রে নিম্নলিখিত ঘোষনাগুলি করা হয়েছিল –
(১)ঘোষণাপত্রে বলা হয় স্বত্ববিলোপ নীতি প্রত্যাহার করা হবে। (
২) রাজাদের আশ্বাস দেওয়া হয় যে তারা দত্তক পুত্র গ্রহণ করতে পারবেন এবং কোম্পানির সঙ্গে তাদের স্বাক্ষরিত চুক্তি মেনে চলা হবে।
(৩) দেশীয় রাজ্যগুলিতে উত্তরাধিকার সংক্রান্ত দেখা কোন দ্বন্দ দেখা দিলে সে ক্ষেত্রে গভর্নর জেনারেলের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।
(৮)সভা সমিতির যুগ বলতে কি বুঝায় ?
উত্তর-উনিশ শতক ভারতীয় সাহিত্য সংস্কৃতি রাজনীতি এক নতুন যুগের সূচনা করে। বিভিন্ন প্রেসিডেন্সি শহরে এই সময় বহু সভা-সমিতির গড়ে ওঠে। কলকাতা,মুম্বাই ,মাদ্রাজ এ অনেক সভা সমিতি গড়ে উঠেছিল। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কলকাতা কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে বঙ্গভাষাপ্রকাশিকা সভা ,ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি,ব্রিটিশ ইন্ডিয়ানঅ্যাসোসিয়েশন,ইন্ডিয়ান লিগ ইত্যাদি। অন্যদিকে বোম্বাই শহরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে জাতীয় কংগ্রেস। আবার মাদ্রাজ শহরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে মাদ্রাজ মহাজন সভা ইত্যাদি।এইভাবে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সভা-সমিতির শাখা প্রতিষ্ঠার জন্য ঐতিহাসিক অনিল শীল উনিশ শতককে সভা সমিতির যুগ বলেছেন।
(৯)ল্যান্ড হোল্ডারসোসাইটি বা জমিদার সভা কি উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তর-1838 খ্রিস্টাব্দের 12 নভেম্বর জমিদার সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সভার উদ্দেশ্য গুলি ছিল-
(১)অধিকার রক্ষা : চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থায় জমিদাররা বংশানুক্রমিক অধিকার লাভ করে, এই অধিকার সুরক্ষিত রাখার প্রয়োজন ছিল।
(২)সুবিধা আদায় : চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের রাজস্ব বিষয়ে অনেক অস্পষ্টতা ছিল। জমিদারের সেই সুবিধাকে কাজে লাগাতে সচেষ্ট ছিলেন। সভা সমিতির মাধ্যমে যৌথভাবে কোন দাবি জানালে তা জোরদার হয়. এই ধারণা থেকেই ইংল্যান্ডের অনুকরণে জমিদার সভা বা ল্যান্ড হোল্ডার সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই সভার উল্লেখযোগ্য সদস্যরা ছিলেন- রাজা রাধাকান্ত দেব, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর এবং প্রসন্নকুমার ঠাকুর প্রমুখ।
(১০)ভারত সভা প্রতিষ্ঠার যেকোনো দুটি উদ্দেশ্য লেখ।
উত্তর-উনিশ শতকে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক সভা গুলির মধ্যে ভারত সভা ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
উদ্দেশ্য : (১)দেশে জনমত গঠন করা।
(২) ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলকের অধিবাসীদের ঐক্যবদ্ধ করা।
(৩) হিন্দু-মুসলমানের মৈত্রীর প্রসার ঘটানো।
(৪) রাজনৈতিক আন্দোলনে অশিক্ষিত মানুষদের যোগদানের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি।
(১১)ইলবার্ট বিল কি?
উত্তর- ইলবার্ট বিল : ভারতে ঔপনিবেশিক শাসনকালে ভারতীয় বিচারকরা সাধারণত কোন ইউরোপীয়দের বিচার করতে পারত না। এই বৈষম্য দূর করে ভারতীয় ও ইউরোপীয় বিচারকদের সমক্ষমতা দান করার জন্য বড়লাট রিপন এর আইন সচিব ইলবার্ট একটি আইনের খসড়া প্রস্তুত করেন। এটি ইতিহাসে ইলবার্ট বিল নামে পরিচিত। এই বিলের মাধ্যমে ভারতীয় বিচারকেরা ইউরোপীয়দের বিচার করা অধিকার লাভ করে।
(১২)ইলবার্ট বিল বিরোধী আন্দোলন বা শ্বেত বিপ্লব কি ?
অথবা
ডিফেন্স আসোসিয়েশন কি ?
উত্তর- ইউরোপীয়রা ইলবার্ট বিলের ঘোরতর বিরোধী ছিল। তারা প্রতিরক্ষা সভা বা ডিফেন্স আসোসিয়েশন গঠন করে ইলবার্ট বিল বিরোধী আন্দোলন শুরু করে। এই ঘটনাই শ্বেত বিপ্লব বা ইলবার্ট বিল বিরোধী আন্দোলন নাম পরিচিত।
********মাধ্যমিক বাংলা কোনির সাজেশনের জন্য এখানে ক্লিক করুন।
*********মাধ্যমিক বাংলা রচনার সাজেশনের জন্য এখানে ক্লিক করুন।
*********মাধ্যমিক পথের দাবি উপন্যাস থেকে প্রশ্ন উত্তরের সাজেশনে রজন্য এখানে ক্লিক করুন।