পরীক্ষা প্রস্তুতি : প্রিয় ছাত্র ছাত্রীরা তোমরা যারা ২০২২ সালে মাধ্যমিক দেবে , PRIKSHAPASTUTI .ORG এক্সপার্ট টিমের পক্ষ থেকে প্রথমেই তোমাদের অভিননন্দন জানাই। এই করোনা পরিস্থিতিতে যাতে তোমরা বাড়িতে বসে সুন্দর ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারো তার জন্যই আমাদের এই প্রচেষ্টা। আশা করছি তোমরা আমাদের দেওয়া সাজেশন গুলি ভালো করে পড়লে অবশ্যই মাধ্যমিকে চুড়ান্ত সফলতা লাভ করতে পারবে। আজকে তোমাদের সামনে মাধ্যমিক বাংলা গল্প ‘ বহুরূপী ‘ থেকে মাধ্যমিক ২০২২ পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্ব পূর্ন MCQ /SAQ এবং LAQ প্রশ্ন-উত্তর গুলি তুলে ধরা হল। মাধ্যমিক লাস্ট মিনিট সাজেশন বাংলা বহুরূপী MCQ / SAQ / LAQ
MADHYAMIK SUGGESTION BANGLA বহুরূপী : [MCQ] : [প্রতিটি প্রশ্নের মান-1]
(১) সন্ন্যাসী বাড়িতে এসেছিলেন —
উত্তর- জগদীশ বাবুর।
(২)সন্ন্যাসীর বয়স ছিল –
উত্তর- হাজার বছরের বেশি।
(৩) হরিদার ঘরে আড্ডা দিত –
উত্তর- চারজন।
(৪)হরিদার জীবনে সত্যিই একটা ………….. আছে। (শূন্যস্থান পূরণ করাে)
উত্তর-নাটকীয় বৈচিত্র্য
(৫)বাসের ড্রাইভারের নাম ছিল –
উত্তর -কাশীনাথ।
(৭)বাইজির ছদ্মবেশে হরিদা রোজগার করেছিলেন –
উত্তর -আট টাকা দশ আনা।
(৮)বিরাগীরুপী হরিদার গায়ে ছিল –
উত্তর – উত্তরীয়।
MADHYAMIK SUGGESTION BANGLA বহুরূপী : (SAQ )[ প্রতিটি প্রশ্নের মান-1]
(১). লেখক ও তাঁর বন্ধুরা হরিদার কাছে কোন্ ঘটনা শােনাতে এসেছিলেন ?
(২)“মাঝে মাঝে সত্যিই উপােস করেন হরিদা।”—হরিদা মাঝে মাঝে উপােস। করেন কেন?
(৩) “কী অদ্ভুত কথা বলেন হরিদা!”—হরিদার কোন্ কথাকে অদ্ভুত মনে হয়েছিল?
(৪) নইলে আমি শান্তি পাব না”—কী পেলে বা শান্তি পাবেন?
(৫) “এই শহরের জীবনে মাঝে মাঝে বেশ চমৎকার ঘটনা সৃষ্টি করেন বহুরূপী হরিদা।”—“বহুরূপী’ গল্পে হরিদার বহুরূপী সাজার কয়েকটি উল্লেখ করাে।
(৬)“জটাজুটধারী কোনাে সন্ন্যাসী নয়”।-উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে সন্ন্যাসী বলার কারণ কী?
(৭) “জগদীশবাবুর দুই বিস্মিত চোখ অপলক হয়ে গেল”—কী দেখে জগদীশবাবুর এমন অবস্থা হয়েছিল?
(৮) “অদৃষ্ট কখনও হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না।”—হরিদার কোন্ ভুল অদৃষ্ট কখনাে ক্ষমা করবে না?
(৯) “পরম সুখ কাকে বলে জানেন?”—বক্তা স্বয়ং ‘পরম সুখ’ বলতে কী বােঝাতে চেয়েছেন?
(১০) “বাঃ এ তাে বেশ মজার ব্যাপার!”—কোন্ ঘটনাকে মজার ব্যাপার বলা হয়েছে?
MADHYAMIK SUGGESTION বহুরূপী : SAQ (৬০ টি শব্দে ): [প্রতিটি প্রশ্নের মান-3]
(১) ঠিক দুপুরবেলাতে একটা আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল।”—আতঙ্কের হল্লাটি বর্ণনা করাে।
উত্তর – এক দুপুরবেলা বাস স্ট্যান্ডের কাছে এক পাগলকে দেখা গিয়েছিল। কটকটে লাল চোখের সেই পাগলের মুখ থেকে লালা ঝরছিল। তার কোমরে ছেড়া কম্বল আর গলায় টিনের কৌটোর মালা জড়ানাে। পাগলটা ইট হাতে নিয়ে বাসে বসা যাত্রীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছিল। তাকে দেখে যাত্রীরা চেঁচিয়ে উঠছিল। কেউ কেউ দু-এক পয়সা তার সামনে ফেলে দিচ্ছিল। কেউ চিনতে না পারলেও বাস ড্রাইভার বুঝতে পেরেছিল হরিদাই এই বহুরূপী যে পাগল সেজে সবাইকে ভয় দেখাচ্ছে।
(২)”কিন্তু দোকানদার হেসে ফেলে—হরির কাণ্ড”—হরি কী কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন?
উত্তর – বহুরুপী হরিদা বিভিন্ন বেশ ধারণ করত। একদিন সারাবেলার ব্যস্ততা যখন কমে এসেছে, সন্ধ্যার আলাে সবেমাত্র জ্বলেছে , হঠাৎই সবাই মিষ্টি রুমঝুম শব্দ শুনতে পায়। সবাই দেখে এক রূপসি বাইজি নাচতে নাচতে চলে যাচ্ছে । সবাই তার দিকে তাকিয়ে থাকে আর সে ফুলসাজি এগিয়ে দিলে দোকানিরা তাতে পয়সা ফেলে দেয়। হরিদাই বাইজি সেজে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল। আর বাইজি যে আসলে বহুরূপী সেটা জানতে পারলে অনেক মুগ্ধ দৃষ্টিরই মোহভঙ্গ হয়।
(৩) দয়ালবাবুর লিচুবাগানে কী ঘটনা ঘটেছিল ?
উত্তর – দয়ালবাবুর লিচুবাগানে স্কু লের চারটি ছেলে এসেছিল লিচু নেওয়ার আশায়। সেখানে হরিদা পুলিশ সেজে দাড়িয়েছিল। আর সেই চারজন ছেলেকে সে ধরেছিল। সব ছেলেরা তাকে সত্যি পুলিশ বলেই মনে করেছিল এবং ভয়ে কেঁদে ফেলেছিল । তারপর সেই ছেলেগুলির স্কুলের মাস্টার সেখানে এসে নকল পুলিশের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে আট আনা ঘুষ দিয়েছিলেন । সেই আট আনা ঘুষ পাওয়ার পর নকল পুলিশ হরীদা সেই চারজন ছেলেকে ছেড়েছিল ।
(৪)জগদীশবাবুর বাড়িতে যে সন্ন্যাসী এসেছিলেন তার বর্ণনা দাও।
উত্তর – জগদীশবাবুর বাড়িতে সাত দিন ধরে এক সন্ন্যাসী ছিলেন। খুবই উচুদরের এই সন্ন্যাসী থাকতেন হিমালয়ের গুহাতে । তিনি সারা বছরে শুধুমাত্র একটি হরীতকী খেয়ে থাকতেন। এছাড়া তিনি আর কিছুই খেতেন না। অনেকেই মনে করত, সন্ন্যাসীর বয়স ছিল হাজার বছরেরও বেশি। তার পায়ের ধুলাে ছিল অত্যন্ত দুর্লভ জিনিস; সবাই সন্ন্যাসীর এই পায়ের ধুলাে পেত না। একমাত্র জগদীশবাবুই সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলাে পেয়েছিলেন।
(৫) “সেতাে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস।”-দুর্লভ জিনিসটা কী? কে, কীভাবে তা লাভ করেছিল ?
উত্তর – দুর্লভ জিনিসটি হল সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো।
জগদীশবাবুর বাড়িতে এক সন্ন্যাসী এসে সাত দিন ছিলেন। সেই। সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলাে ছিল অত্যন্ত দুর্লভ। জগদীশবাবু যে-কোনাে মূল্যে সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলাে নিতে চেয়েছিলেন। তাই জগদীশবাবু একজোড়া কাঠের খড়মে সােনার বােল লাগিয়ে সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে ধরেছিলেন। তখন বাধ্য হয়ে সন্ন্যাসী তার পা এগিয়ে দিয়েছিলেন আর সেই ফাঁকে জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলাে নিয়েছিলেন।
(৬) “হরিদার জীবনে সত্যিই একটা নাটকীয় বৈচিত্র্য আছে।” হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্যটি কী ছিল?
উত্তর – গরিব হরিদা নিজের ছােট্ট ঘরে দিন কাটাত । কোনােদিন খাবার জুটত, কোনােদিন জুটত না। কিন্তু এই রােজকার একঘেঁয়ে জীবনে হরিদার একটা নাটকীয় বৈচিত্র্য ছিল। হরিদা মাঝে মাঝে বহুরূপী সেজে রােজগার করত। কোনাে কোনাে দিন সকালে অথবা সন্ধ্যায় বিচিত্র সব ছদ্মবেশে সে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ত। যারা চিনতে পারত তাদের মধ্যে কেউ কিছুই দিত না অথবা কেউ বিরক্ত হয়ে দু একটি পয়সা বাড়িয়ে দিত । তবু প্রতিদিন বহুরূপী বেশে রাস্তায় বেরনোটাই ছিল হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্য ।
(৭) হরিদা কোনােদিন চাকরি করেননি কেন?
(৮) ঠিক দুপুরবেলাতে একটা আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠল আতঙ্কের হল্লাটির পরিচয় দাও?
(৯) জগদীশবাবুর যে সন্ন্যাসী এসেছিলেন—তার বর্ণনা দাও।
(১০) আপনি কী ভগবানের চেয়েও বড়াে-কে কেন কাকে এ উক্তি করেছিলেন?
(১১) কিন্তু মাস্টারমশাই একটুকুও রাগ করেননি—কোন ঘটনার জন্য মাস্টারমশাই রাগ করেননি?
MADHYAMIK SUGGESTION BANGLA বহুরূপী : (LAQ) : [প্রতিটি প্রশ্নের মান-5]
(১)’গল্প শুনে খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন হরিদা’– গল্পটি কী ছিল ? হরিদার গম্ভীর হয়ে যওয়ার কারণ কী ছিল?
উত্তর – অবস্থাপন্ন জগদীশবাবুর বাড়িতে এসে সাতদিন ধরে ছিলেন এক সন্ন্যাসী, যিনি হিমালয়ের গুহায় থাকতেন। তার বয়স হাজার বছরের বেশি এবং সারা বছরে একটি হরিতকী ছাড়া তিনি আর কিছুই খেতেন না। জগদীশবাবু ছাড়া আর কাউকে তিনি পদধুলি দেননি। জগদীশবাবুও তা পেয়েছিলেন কৌশল করে। একজোড়া কাঠের খড়মে সােনার বােল লাগিয়ে জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে ধরেন আর সন্ন্যাসী বাধ্য হয়ে তাতে পা গলতে গেলে সেই সুযােগে জগদীশবাবু তার পায়ের ধুলাে নিয়ে নেন | জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর ঝোলার ভিতরে একশাে টাকার একটি নােট জোর করে ফেলে দেন । সন্ন্যাসী হেসে সেখান থেকে চলে যান | এই গল্পই হরিদাকে শােনানাে হয়েছিল।
হরিদা সন্ন্যাসী এবং জগদীশবাবুর এই গল্প শুনে গম্ভীর হয়ে যান। কথকরা এই গান্তীর্যের কারণ বুঝতে পারেন না। এই সময়েই হরিদা তাদের জগদীশবাবুর বাড়িতে খেলা দেখাতে যাওয়ার কথা বলেন। জগদীশবাবুর কাছ থেকে সারা বছরের প্রয়ােজনীয় অর্থ হাতিয়ে। নেওয়াই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। জগদীশবাবুর ধর্ম বিষয়ে দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়েই হরিদা নিজের উদ্দেশ্য সফল করতে চেয়েছিলেন।
(২) “আজ তােমাদের একটা জবর খেলা দেখাব।”—কে, কাদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছে? সে কোন্ জবর খেলা দেখিয়েছিল ?
উত্তর – ‘বহুরূপী গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হরিদা কথক ও তার বন্ধুদের উদ্দেশ্য করে উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন।
বহুরূপী সেজে অর্থোপার্জন ছিল হরিদার নেশা এবং পেশা | ধর্মভীরু জগদীশবাবুকে বােকা বানিয়ে নিজের জন্য মােটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতে চেয়েছিলেন হরিদা। তাই সাদা থান পড়ে, সাদা উত্তরীয় গায়ে দিয়ে হাজির হন তার বাড়িতে। জগদীশবাবু হরিদার নিখুঁত ছদ্মবেশের কারণে তাকে চিনতে না পেরে বিনয় ও ভক্তিতে গদগদ হয়ে যান। জগদীশবাবুকে নীচে নেমে আসতে বাধ্য করেন । কণ্ঠস্বরে গাম্ভীর্য, মুখমণ্ডলে প্রশান্তির ছবি ফুটিয়ে তুলে হরিদা নিজের সাজকে পূর্ণাঙ্গতা দান করেন । বিরাগীবেশী হরিদা জানায় যে তার কোনাে রাগ নেই, সে বিষয়ীর ঘরে থাকতে চায় না এবং সে সদ্য তীর্থ ভ্রমনে যাবে ।
তীর্থযাত্রার জন্য জগদীশবাবু হরিদাকে একশাে এক টাকার থলি দিতে চাইলে সে তা স্পর্শ না করে বেরিয়ে আসে। কিন্তু হরিদা অর্থগ্রহণ না করায় লেখক ও তার বন্ধুদের সন্দেহ হয়। যদিও হরিদার বাড়ি এসে তারা বুঝতে পারেন সেই বিরাগীর বেশ ধারণ করেছিল | হরিদার এইরূপ ছদ্মবেশ ধারণ করে জগদীশবাবুকে ধোঁকা দেওয়ার কৌশলটিকে আলােচ্য প্রসঙ্গে ‘জবর খেলা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
(৩) আমি যেমন অনায়াসে ধুলাে মাড়িয়ে চলে যেতে পারি, তেমনই অনায়াসে সােনাও মাড়িয়ে চলে যেতে পারি।- ছদ্মবেশ ধারণ করেও হরিদা কীভাবে এই কথার সত্যতা প্রমাণ করেছেন লেখাে।
উত্তর – বড় চমকপ্রদ এবং নাটকীয় হরিদার জীবন। বাঁধাধরা আর পাঁচটা পেশায় সে নিযুক্ত হতে চায়নি। কারণ একঘেয়ে কাজ করতে তার ভয়ানক আপত্তি। বহুরূপী সেঝে সে যা উপার্জন করত তাতে ঠিকমতাে দিনাতিপাত হত না। এই সময় সে শোনে জগদীশবাবুর বাড়িতে এক সন্ন্যাসীর আগমনের কথা | ধনী জগদীশবাবু সন্ন্যাসীকে অর্থ-সহ নানা কিছু দান করেছিলেন। সন্ন্যাসীর গল্প হরিদাকে উজ্জীবিত করে। সে সিদ্ধান্ত নেয় বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর বাড়ি থেকে বেশ কিছু আদায় করবে, যা দিয়ে তার সারাবছর চলে যাবে। হরিদা বিরাগী সেজে জগদীশবাবুর বাড়ি উপস্থিত হয়। জগদীশবাবু তাকে দেখে অভিভূত এবং ভক্তিতে গদগদ হয়ে প্রথমে তার বাড়িতে থাকার কথা বলেন। তারপর টাকার থলি এনে হরিদার পায়ের কাছে রাখেন। কিন্তু হরিদা প্রকৃত বিরাগীর মতাে সবকিছু প্রত্যাখ্যান করে। লােভ রূপান্তরিত হয়ে যায় ত্যাগে। বিরাগীর আদর্শভূমিতে দাড়িয়ে হরিদা ঘােষণা করে যে, তার কাছে ধুলাের মতাে সােনাও তুচ্ছ। চরিত্রের সঙ্গে একাত্মতা পেশাদারিত্বকে পরাজিত করে ত্যাগের জীবনাদর্শকে তুলে ধরেছে।
(৪)বহুরূপী গল্প অবলম্বনে হরিদার চরিত্রের বর্ণনা দাও?
(৫)‘এবার মারি তো হাতি লুঠি তো ভাণ্ডার’—জগদীশবাবুর বাড়িতে কী ঘটনা ঘটেছিল তা লেখাে।
(৬) “পরম সুখ কাকে বলে জানেন সব সুখের বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে যাওয়া”। এ বক্তব্য হরিদার জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলে বলাে।
* মাধ্যমিক ২০২২ পরীক্ষার রুটিনের জন্য এখানে ক্লিক করুন
মাধ্যমিক ২০২২ বাংলা রচনার লাস্ট মিনিট সাজেশন পেতে ক্লিক করুন
Pingback: MADHYAMIK HISTORY LAST MINUTE SUGGESTION 3RD CHAPTER 2 MARKS SAQ PART 3 | Pariksha Prastuti