অসুখী একজন কবিতার বড় প্রশ্ন- উত্তর

অসুখী একজন কবিতার বড় প্রশ্ন- উত্তর

পরীক্ষা প্রস্তুতি : অসুখী একজন কবিতার বড় প্রশ্ন- উত্তর ।  প্রিয় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা তোমরা যারা এবছর ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষাদেবে ,তোমাদের সম্পূর্ণ সিলেবাসের উপর পরীক্ষা হবে। তাই মাধ্যমিক বাংলা ”অসুখী একজন”  কবিতা থেকে এবছর পরীক্ষায় আসতে  পারে এইরকম সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (SAQ-৩ নম্বরের  ) এবং রচনাধর্মী বড় প্রশ্ন উত্তর (LAQ- ৫ নম্বরের  ) গুলি এখানে আলোচনা করা হল।  তোমার এই প্রশ্ন উত্তর গুলি পরীক্ষার জন্য ভালো করে প্রস্তুতি করলে অবশ্যই  ”অসুখী একজন  ” কবিতার  সমস্ত ধরনের ৩ ও ৫ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর তোমরা কমন পাবেই পাবে।অসুখী একজন কবিতার বড় প্রশ্ন- উত্তর। অসুখী একজন কবিতার বড় প্রশ্ন- উত্তর। অসুখী একজন কবিতার বড় প্রশ্ন- উত্তর। অসুখী একজন কবিতার বড় প্রশ্ন- উত্তর। অসুখী একজন কবিতার বড় প্রশ্ন- উত্তর। 

মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩

অসুখী একজন কবিতার বড় প্রশ্ন – উত্তর 

Asukhi akjn kbitar prashn uttar 

”অসুখী একজন” কবিতার পরিচিতিঃ 

কবিতার নাম: অসুখী একজন
কবির নাম: পাবলো নেরুদা (চিলিয়ান  কবি)
অনুবাদকের নাম: নবারুণ ভট্টাচার্য
মূল অনুবাদ-গ্রন্থ: বিদেশী ফুলে রক্তের ছিটে
মূল কবিতা: লা দেসদিচাদা (কাব্য : এস্ট্রাভ্যাগেরিয়া)
মূল কবিতাটি রচিত হয়: স্প্যানিশ ভাষায়।

অসুখী একজন কবিতার ৩ নম্বরের প্রশ্ন – উত্তর 

অসুখী একজন কবিতা ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্ন — Asukhi Ekjon Kobita- SAQ (৩ নম্বরের ) – অসুখী একজন কবিতা প্রশ্ন উত্তর – Asukhi Ekjon Kobita Question Answer — মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ – Madhyamik Bengali Suggestion 2023
‘অসুখী একজন’ কবিতার ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্ন:- ৩ নম্বরের প্রশ্ন-উত্তর। 

১)”আমি তাকে ছেড়ে দিলাম।” – কবি কাকে ছেড়ে দিলেন? তাকে তিনি কিভাবে রেখে এসেছিলেন?

উওর : অসুখী একজন কবিতায় এখানে কবি তার নিজের প্রেমিকা বা তাঁর ভালোবাসার মানুষটিকে তাঁর অপেক্ষায় ছেড়ে দিয়েছেন।
এখানে কবি তার প্রিয়তমাকে তার বাড়ির দরজায় দাড় করিয়ে রেখে, কবি তার উদ্দেশ্য বেরিয়ে পরেছিলেন। কিন্তু তার প্রিয়তমা এই বিষয়টি না জেনেই সেই দরজাতেই দাড়িয়ে ছিলেন যে কবি আর কখনোই ফিরে আসবেন না।। আর কবির প্রিয়তমা তার ভালোবাসার মানুষটার অপেক্ষাতে সেভাবেই দাড়িয়ে ছিলেন।।

২)অসুখী একজন কবিতায় কবির চলে যাওয়ার পর সেই পথে কী এবং কেন জন্মেছিল?

উওর : অসুখী একজন কবিতায় কবির চলে যাওয়ার পর সেই পথে ঘাস জন্মেছিল।।
সাধারণ একটি পথে যখন কারোর যাওয়া আসা লেগে থাকে বা যখন যেই পথের মাধ্যমে কেউ বিচরণ করে থাকে তখন সেই পথটি পরিস্কার থাকে। কিন্তু যখন একটি পথের মানুষজন চলা ফেরা বন্ধ করে দেয়, তখন সেই পথে ঘাসজাতীয় জিনিস জন্ম নেয়।। এখানে কবির চলে যাওয়ার পর সেই পথে দীর্ঘদিন ধরে কবি বা অন্যকেউ পা রাখেনি.. যার জন্য সেই পথ ঘাস জন্ম নিয়েছে।।

৩)” আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায়। ” — মেয়েটি কে?? সে অপেক্ষা করছে কেন?
 
উওর : অসুখী একজন কবিতার এই লাইনটিত সেই মেয়েটি হলেন কবির প্রেমিকা বা ভালোবাসার মানুষটি।। 
 
তার কবির জন্য অপেক্ষা করার কারণ হল – 
এখানে কবি যখন তার প্রিয়তমাকে তার অপেক্ষাতে দরজায় দাড় করিয়ে রেখে গিয়েছিলেন, তখন কবির প্রিয়তমা এই বিষয়টি জানতেন না যে কবি আর কখনোই ফিরে আসবেন না। মেয়েটি একটি আশা নিয়ে তার ঘরের দরজায় বছরের পর বছর অপেক্ষায় ছিলেন যে কবি একদিন ফিরে আসবেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও কবি ফিরে আসেন না। কিন্তু তবুও তার প্রিয়তমা মনে বিশ্বাস নিয়ে সেখানেই দাড়িয়ে থাকেন, যেখানে কবি তাকে তার অপেক্ষাতে দাড় করিয়ে রেখে গিয়েছিলেন।
 

৪)‘শান্ত হলুদ দেবতারা-দেবতাদের ‘শান্ত
হলুদ বলা হয়েছে কেন? তাদের কী পরিণতি হয়েছিল?

উত্তর: অসুখী একজন’ কবিতায় কবি চলে যাওয়ার পর এক সময় যুদ্ধ বাধল। সেই যুদ্ধের বীভৎসতায় নগর-সভ্যতা, কবির স্বপ্নের বাড়ি-ঘর সব চূর্ণ হয়ে গেল, এমনকি ধ্বংস হল দেবতাদের
মন্দিরও। হাজার হাজার বছরের যে দেবতারা মানুষের মনে বিশ্বাস জাগিয়ে এসেছেন, যুদ্ধ তাদেরও আসনচ্যুত করল। প্রাচীন দেবতাদের
নিষ্ক্রিয়তা ও জীর্ণতাকে বােঝাতে হলুদ ও শান্ত বলা হয়েছে। যুদ্ধের আগুনে নগর পুড়লে দেবালয়ও বাদ যায় না। মানুষের মনে দেবতারা যে বিশ্বাস বােধের জন্ম দিয়েছিল তা ধ্বংস হল।

– অসুখী একজন কবিতা থেকে এর বাইরে যেসকল প্রশ্ন আসতে পারে তার উওর বতর্মানে আমরা আমাদের ওয়েবসাইট দিতে পারব না।। পরবর্তীকালে সময় থাকলে নিশ্চয়ই তার উওর আমরা শেয়ার করবো। অসুখী একজন কবিতা থেকে যেই সকল প্রশ্নের উওর আমরা শেয়ার করতে পারিনি সেগুলো নিচে সাজেশন আকারে দেওয়া হল।।

৫)“একটা কুকুর চলে গেল , হেঁটে গেল গির্জার এক নান / একটা সপ্তাহ আর একটা বছর কেটে গেল।” এই বর্ণনার মধ্য দিয়ে বক্তা কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ প্ৰখ্যাত চিলিয়ান কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় এই উক্তির মধ্য দিয়ে কথক বোঝাতে চেয়েছেন সময় প্রবহমাণ, সে কখনো থেমে থাকে না। কোনো একজনের অনুপস্থিতিতে জীবনের গতি রুদ্ধ হয় না। প্রতিদিনের সাধারণ ঘটনাগুলি ঘটে চলে নির্দিষ্ট নিয়মে। রাস্তা দিয়ে যেমন কুকুর চলে যায়, তেমনি হেঁটে যায় গির্জার নান। অর্থাৎ প্রবহমাণ সময় সমস্ত স্মৃতিচিহ্নটুকু মুছে দেয়।

৬).“…ধুয়ে দিল আমার পায়ের দাগ ” – কে ধুয়ে দিল? কবি একথার মধ্য দিয়ে কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ প্রখ্যাত চিলিয়ান কবি পাবলো নেরুদার ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কবির পায়ের দাগ ধুয়ে দিল বৃষ্টির জল। বৃহত্তর সমাজ ও পৃথিবীর দাবি কখনো কখনো মানুষকে ঘর ছাড়তে বাধ্য করে। অগ্নিগর্ভ ভয়ানক বিপ্লবের পথকেই সে নিজের পথ বলে ভেবে পা বাড়ায়। চেনা পৃথিবী , প্রিয় মানুষ সব কিছুকে পিছনে ফেলে সে এগিয়ে যায় চূড়ান্ত সংগ্রামের লক্ষ্যে। সাংসারিক পৃথিবীতে ক্রমশ ধূসর হয়ে যায় মানুষটির স্মৃতি। প্রশ্নোধৃত মস্তব্যে কবি একথাই বোঝাতে চেয়েছেন।

৭) “সেই মিষ্টি বাড়ি, সেই বারান্দা”, মিষ্টি বাড়িটির পরিবেশ কেমন ছিল?
অথবা,
“যেখানে আমি ঝুলন্ত বিছানায় ঘুমিয়েছিলাম,” কবি যেখানে ঘুমিয়েছিলেন সেখানকার পরিবেশ কেমন ছিল?
অথবা,
‘অসুখী একজন’ কবিতায় কবির স্বপ্নবিজরিত বাড়ির পরিবেশটি কেমন ছিল?
উত্তরঃ ‘অসুখী একজন‘ কবিতায় চিলিয়ান কবি পাবলো নেরুদা তাঁর স্বপ্নবিজরিত বাড়ির সুন্দর পরিবেশ ফুটিয়ে তুলেছেন। কবির মিষ্টি বাড়িটির বারান্দায় ছিল ঝুলন্ত বিছানা, যেখানে তিনি ঘুমাতেন। বারান্দার পাশে ছিল গোলাপি গাছ, ছড়ানো করতলের মতো পাতা, চিমনি এবং প্রাচীন জলতরঙ্গ।

৮) “সেই মেয়েটির মৃত্যু হলো না” কোন মেয়েটির, কেন মৃত্যু হলো না ?
উত্তরঃ চিলিয়ান কবি পাবলো নেরুদা রচিত ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কথকের প্রতীক্ষায় দরজায় বছরের পর বছর দাঁড়িয়ে থাকা প্রিয়তমা মেয়েটির কথা বলা হয়েছে। দেশে যুদ্ধ বাধলে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা বাড়ে। সভ্যতা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ মরতে মরতে বেঁচে থাকে। কিন্তু মেয়েটির মৃত্যু ঘটে না। কারণ ভালোবাসা অমর চিরঞ্জীবী তাই তার কখনো মৃত্যু হয় না।

৯)“রক্তের একটা কালো দাগ। ” রক্তের একটা কালো দাগ হলো কেন?
উত্তরঃ পাবলো নেরুদার লেখা ‘অসুখী একজন’ কবিতায় ফুটে উঠেছে এক দুঃসময়ের ছবি। ‘যুদ্ধ’ শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে আছে কাটাকাটি, হানাহানি। স্বাভাবিকভাবে লাল রক্তের স্রোত বয়েই চলে রাজপথে, অলিতে–গলিতে। সেই গাঢ় রক্ত যখন শুকিয়ে যায় তখন কালচে রূপ ধারণ করে।

১০)- কবিতায় বছর গুলোকে পাথরের মতো বলা হয়েছে কেন?

উওর : অসুখী একজন কবিতায় বছর গুলোকে পাথরের মতো, কবিতার কথকের ভালোবাসার মানুষটির উদ্দেশ্য ব্যবহার করা হয়েছে।
বছর গুলো কবির ভালোবাসার মানুষের জন্য এজন্যই পাথরের মতো ছিল যে, পাথরের যেমন ভারী হয়! ঠিক তেমনি কবির ভালোবাসার মানুষটির কাছে, কবির জন্য অপেক্ষাকৃত সময়টাও কষ্ট, বেদনা ও একাকিত্বের মাধ্যমে সময় বা বছর গুলো মানুষিক যন্ত্রণার দ্বারা ভারী হয়ে এসেছিল ।। দীর্ঘদিন কবির অপেক্ষা করার পরেও কবি তার কাছে ফিরে আসেন না! যার ফলে কবির প্রিয়তমার কাছে সময়ের ভার পাথরের সমান ছিল।

অসুখী একজন কবিতার ৫ নম্বরের প্রশ্ন – উত্তর 

অসুখী একজন কবিতা ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্ন — Asukhi Ekjon Kobita- LAQ (৫ নম্বরের ) – অসুখী একজন কবিতা প্রশ্ন উত্তর – Asukhi Ekjon Kobita Question Answer — মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ – Madhyamik Bengali Suggestion 2023
‘অসুখী একজন’ কবিতার ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্ন:- ৫ নম্বরের প্রশ্ন-উত্তর। 

১)’অসুখী একজন’ কবিতায় যুদ্ধের যে ভয়াবহ রূপ তুলে ধরা হয়েছে তা আলোচনা করো। অথবা “সব চূর্ণ হয়ে গেল জ্বলে গেল আগুনে” কবিতা অনুসরণে পরিস্থিতির বিবরণ দাও

উত্তর: চিলিয়ান কবি পাবলো নেরুদার লেখা ‘অসুখী একজন’ কবিতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত পৃথিবীর এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। কবিতার কথক তাঁর প্রিয়তমাকে ছেড়ে চিরতরে চলে যাওয়ার পর বেশ কয়েক বছর অতিক্রান্ত হল। তার পর নেমে এল যুদ্ধ। কবিতার রচনাকাল ও বর্তিত যুদ্ধের ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে মনে হয় এখানে আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথাই বলা হয়েছে।

যুদ্ধের বর্ণনা দিতে গিয়ে কবি এই যুদ্ধকে তুলনা করেছেন রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড়ের সাথে। আগ্নেয়গিরি যেমন লাভা উদ্‌গিরণ করে, যুদ্ধ তেমনি উদ্‌গিরণ করে রক্ত। অসংখ্য মানুষ ও শিশুর মৃত্যু হয় এই যুদ্ধে। উজাড় হয়ে যায় বহু পরিবার। মানুষের ধর্মবিশ্বাস ও মূল্যবোধ ভেঙে পড়ে। সুন্দর এক পৃথিবীর স্বপ্ন‌ও মিথ্যে হয়ে যায়। ব্যক্তি মানুষের প্রিয় স্মৃতিগুলিকেও ধ্বংস করে দিয়ে যায় যুদ্ধ। অনেক স্বপ্ন নিয়ে গড়ে তোলা মিষ্টি বাড়ি আর বারান্দাগুলি কোথায় হারিয়ে যায়। যেখানে একদিন ছিলো প্রাণবন্ত শহর, সেখানে দেখা যায় ধ্বংসস্তূপ। মহাপুরুষদের মূর্তির সাথে সাথে ভেঙে পড়ে তাঁদের গড়ে তোলা আদর্শ। রক্তের একটা কালো দাগ লেগে থাকে মানবসভ্যতার গায়ে এক কলঙ্কের মতো।

২)”সেই মেয়েটির মৃত্যু হল না” – তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। অথবা: “আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায়।”- কোন মেয়ের কথা বলা হয়েছে? তার অপেক্ষার তাৎপর্য কবিতা অনুসারে ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: চিলিয়ান কবি পাবলো নেরুদার লেখা’অসুখী একজন’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে।

এখানে ‘সেই মেয়েটি’ বলতে কবিতার প্রিয়তমার কথা বলা হয়েছে। কথক তাঁকে একা ফেলে চিরতরে চলে গিয়েছিলেন নিরুদ্দেশে। তিনি আর কখনও ফিরে আসেননি। তাঁর প্রিয়তমা পথ চেয়ে বসে থাকেন অনন্ত অপেক্ষায়। তারপর আসে যুদ্ধ। চলল ভয়াবহ তাণ্ডবলীলা। সব জ্বলে গেলো, চুরমার হয়ে গেলো। কিন্তু যুদ্ধের ভয়াবহ ধ্বংসলীলার শেষেও কথকের প্রিয়তমা বেঁচে র‌ইলো। এই বেঁচে থাকা আসলে শারীরিক বেঁচে থাকা নয়। গভীর ব্যঞ্জনার মধ্য দিয়ে কবি আসলে চিরন্তন প্রেমের অমরত্বের কথাই বলেছেন। প্রিয়জনের ঘরে ফেরার জন্য অপেক্ষা কখনও ফুরায় না। যুগে যুগে তামাম দুনিয়ার প্রতি ঘরে চলে আসছে এই অপেক্ষা — প্রিয়জনের জন্য অপেক্ষা। এই অপেক্ষাই জ্বালিয়ে রাখে ভালোবাসার অনির্বাণ প্রদীপ। যুদ্ধ এসে সমাজকে ভেঙে দেয়, রাষ্ট্র টুকরো হয়, শহর ধূলিসাৎ হয়, কিন্তু মানবহৃদয়ের অনির্বাণ দীপশিখা ভালোবাসাকে কেউ ধ্বংস করতে পারে না। যুদ্ধ‌ও না। সমস্ত যুদ্ধের শেষেও সে বেঁচে থাকে, চির অমলিন, চিরঞ্জীব।

৩)‘অসুখী একজন’ কবিতার নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো।

উত্তরঃ যেকোনো সাহিত্যিক রচনার নামকরণের বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। নামকরণের কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি নেই। নামকরণ হতে পারে প্রধান চরিত্রকেন্দ্রিক, নাহয় প্রধান ঘটনাকেন্দ্রিক, নতুবা ব্যঞ্জনাধর্মী। চিলিয়ান কবি পাবলো নেরুদার লেখা একটি অনবদ্য কবিতা হল ‘অসুখী একজন’। আলোচ্য কবিতাটি জনৈক কথকের জবানিতে বিবৃত হয়েছে। কবিতার শুরুতেই একটি মেয়ের কথা বলা হয়েছে। সে কথকের প্রেয়সী। কথক তাকে অপেক্ষায় রেখে বহুদূরে চলে যায়। মেয়েটি জানতো না যে তার প্রিয়তম আর কোনোদিন ফিরবে না। তাই সে অপেক্ষা করতে থাকে। বহতা নদীর মতো সময় পেরিয়ে যায় এবং অপেক্ষারত মেয়েটির হৃদয় দুঃখে-বেদনায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। তারপর একদিন যুদ্ধ শুরু হয়। সমস্ত ঘরবাড়ি ভেঙে চুরমার হয়ে যায়, মন্দিরে স্থাপিত দেবমূর্তি ভূপতিত হয় এবং অসংখ্য নিরীহ মানুষ মারা যায়। কিন্তু সেই মেয়েটির মৃত্যু হয় না। শাশ্বত প্রেমের আলোকবর্তিকা নিয়ে বেঁচে থাকে সেই অপেক্ষারত মেয়েটি। অতএব বলা যায়, এই মেয়েটিই হল কবিতার প্রধান চরিত্র। তাকেই বলা হয়েছে অসুখী একজন এবং তার দুঃখের কথাই আলোচ্য কবিতার মূল উপজীব্য। কবিতার নামকরণের ক্ষেত্রে প্রধান চরিত্রের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে এবং এই নামকরণ সম্পূর্ণ সার্থক হয়েছে।

আরো পড়ুন: অসুখী একজন কবিতার MCQ & SAQ 

মাধ্যমিক বাংলা ” আফ্রিকা ” কবিতার প্রশ্ন উত্তরের জন্য এখানে CLICK  করুন। 

মাধ্যমিক বাংলা ” অভিষেক  ” কবিতার প্রশ্ন উত্তরের জন্য এখানে CLICK  করুন। 

মাধ্যমিক বাংলা ”প্রলয় উল্লাস  ” কবিতার প্রশ্ন উত্তরের জন্য এখানে CLICK  করুন। 

মাধ্যমিক বাংলা ” সিন্ধুতীরে ” কবিতার প্রশ্ন উত্তরের জন্য এখানে CLICK  করুন। 

মাধ্যমিক বাংলা ” অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান  ” কবিতার প্রশ্ন উত্তরের জন্য এখানে CLICK  করুন। 

1 thought on “অসুখী একজন কবিতার বড় প্রশ্ন- উত্তর”

  1. Pingback: অসুখী একজন কবিতার MCQ & SAQ | Pariksha Prastuti

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *