পরীক্ষা প্রস্তুতি : আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর। প্রিয় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা তোমরা যারা এবছর ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষাদেবে ,তোমাদের সম্পূর্ণ সিলেবাসের উপর পরীক্ষা হবে। তাই মাধ্যমিক বাংলা ”আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” কবিতা থেকে এবছর পরীক্ষায় আসতে পারে এইরকম অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু সঠিক উত্তর নির্বাচনধর্মী প্রশ্ন-উত্তর (MCQ) ,অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (VSAQ) সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর (SAQ ) এবং রচনাধর্মী বড় প্রশ্ন উত্তর (LAQ ) গুলি এখানে আলোচনা করা হল। তোমার এই প্রশ্ন উত্তর গুলি পরীক্ষার জন্য ভালো করে প্রস্তুতি করলে অবশ্যই ”আয় আরো বেঁধে বেধেঁ থাকি” কবিতা সমস্ত ধরনের প্রশ্ন উত্তর তোমরা কমন পাবেই পাবে। মাধ্যমিক বাংলা আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর।
মাধ্যমিক বাংলা আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার প্রশ্ন উত্তর
Madhyamik Bengali Aye Aro Bedhe Bedhe Thaki Questions and Answers
শ্রেণী | দশম শ্রেণী (মাধ্যমিক) |
বিষয় | মাধ্যমিক বাংলা |
কবিতা | আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি |
কবি | শঙ্খ ঘোষ |
কবিতার বিষয়বস্তু :
কবি শঙ্খ ঘোষ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় সমাজ ব্যবস্থার সঙ্কট মুহূর্তের এক প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। কবিতার মধ্যে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ভাবে বিপন্ন মানুষের কথা তুলে ধরেছেন সমাজ সচেতন কবি । এইসব মানুষদের ডানদিকের পথ ধ্বসে রুদ্ধ ,বাম দিকে গভীর গিরিখাদ দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত –
” আমাদের ডান পাশে ধ্বস
আমাদের বাঁয়ে গিরিখাদ
…আমাদের পথ নেই কোনো “
মাথার উপর আকাশটাও নিরাপদ নয়,সেখানে বোমারু বিমানের আনাগোনা। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষেরা আজ গৃহহারা। শিশুদের শব ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে’। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকতে কবির আহ্বান- “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি।”
কেবল সমাজের বাহ্যিক অবক্ষয় নয়। বিপন্ন মানুষেরা আজ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়েছে।এই দুর্বলতার কারন তাদের কোনো ইতিহাস নেই। যদিও বা থাকে, সেখানে প্রকৃত সত্যের উন্মোচন ঘটেনি-
“অথবা এমনই ইতিহাস
আমাদের চোখমুখ ঢাকা।”
এইসব বিপন্ন মানুষেরা আজ সহানুভূতির কাঙাল। পৃথিবীর অন্যান্য মানুষ কোনো ভাবেই মনে রাখেনি তাদের কথা। এমতাবস্থায় যে কজন বেঁচে থাকতে পারবেন, তাদের একটাই কাজ হবে হাতে হাত রেখে বেঁধে বেঁধে থাকা। অর্থাৎ পারস্পরিক ঐক্য সুদৃঢ় করে, নিজেদের শক্তিকে একত্রিত করে অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে একত্রে বেঁচে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন কবি।
আয় আরো বেঁধে বেধেঁ থাকি কবিতার সঠিক উত্তর নির্বাচনধর্মী প্রশ্ন-উত্তর MCQ
সঠিক উত্তর নির্বাচনধর্মী প্রশ্ন -MCQ (প্রশ্নমান – ১) আয় আরো বেঁধে বেধেঁ থাকি (শঙ্খ ঘোষ ) কবিতা প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ – Madhyamik Bengali Suggestion 2023
[এখানে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের চারটি অপসন দেওয়া আছে ,আর মধ্যে প্রথমে নিজে নিজে একটি উত্তর বেছে নাও এবং তার পরে Show Ans. এর উপর ক্লিক করে correct answer মিলিয়ে নাও ]
1)”আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি ” কবিতাটি কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা কোন কাব্য গ্রন্থের অন্তর্গত ? [মাধ্যমিক ২০১৮]
[A]নিহিত পাতাল ছায়া
[B]পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ
[C]দিনগুলি রাতগুলি
[D]জলই পাষান হয়ে আছে
2)”আমাদেরডান পাশে ——-” (শূন্যস্থান পূরণ কর। )
[A]গিরিখাদ
[B]জঙ্গল
[C]ধ্বস
[D]পাহাড়
3)”আমাদের বাঁয়ে ————— ”। (শূন্যস্থান পূরণ কর )
[A]পাহাড়
[B]ধ্বস
[C]জঙ্গল
[D]গিরিখাদ
4)”আমাদের মাথায় বোমারু ”—‘বোমারু’ কথাটির অর্থ কি ?
[A]আতশবাজি
[B]মহাশব্দকারী গোলক
[C]বোমা নিক্ষেপক যুদ্ধ বিমান
[D]লোহার সরু মুখ
5)”পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ ” — ‘হিমানী’ কথাটির অর্থ কি ?
[A]জল
[B]তুষার
[C]পাথর
[D]পথ
6)” আমাদের ——– নেই ” । (শূন্যস্থান পূরণ কর। )
[A]টাকা
[B]পয়সা
[C]রাস্তা
[D]পথ
7)আমাদের ঘর কোথায় ?
[A]হারিয়ে গেছে
[Bউড়ে গেছে ]
[C]ভেসে গেছে
[D]কিছুই নেই
8)কাছে দূরে কি ছড়ানো রয়েছে ?
[A]ঘরবাড়ি
[B]টাকা পয়সা
[C]শিশুদের শব
[D]জিনিসপত্র
9)” আমরাও তবে এই ভাবে /এই মুহূর্তে ——–না কি ?” ( শূন্যস্থান পূরণ করো। )
[A]বেঁচে যাব
[B]মরে যাবো
[C]চলে যাবো
[D]রয়ে যাবো
10)আমাদের আর পথ নেই কেন ?
[A]কবি চলতে গিয়ে পথ হারিয়ে ফেলেছেন
[B]যুদ্ধ বিধস্ত পৃথিবীতে মানবতার চরম বিপর্যয়ের কারনে।
[C]রাতের আঁকারের কারনে
[D]পথ শেষ হয়ে গিয়েছে
MADHYAMIK 2023 ENGLISH PARAGRAPH WRITING সাজেশন পেতে এখানে CLICK করুন।
11)কবি শঙ্খ ঘোষ আমাদের কিভাবে থাকতে বলেছেন ?
[A]কাছাকাছি
[B]দূরে দূরে
[C]বেঁধে বেঁধে
[D]চোখ মুখ ঢেকে
12)’বেঁধে বেঁধে ‘ কথাটির অর্থ কি ?
[A]বাঁধন দিয়ে থাকে
[B]সঙ্ঘবদ্ধতার সঙ্গে থাকা
[C]গুটিসুটি মেরে থাকা
[D]গুছিয়ে থাকা
13)আমরা বারো মাস কি ?
[A]সুস্থ
[B]ভিখারি
[C]অসুস্থ
[D]ধনী
14)হয়তো কি বেঁচে আছে ?
[A]আমরা
[B]পৃথিবী
[C]ভিখারি
[D]গাছ
15)পৃথিবী মরে গেছে বলে কবি আশঙ্কা করেছেন কেন ?
[A]পৃথিবীতে কোন মানুষ নেই বলে
[B]পৃথিবীতে জল ,আলো ,বাতাস নেই বলে
[C]হানাহানি আর মৃত্যর পৃথিবীতে মানবিকতার অভাব বলে।
[D]পৃথিবীর অস্তিত্ব আর নেই বলে
16)”আমাদের কথা কে বা জানে ? ” —আমরা কারা ?
[A]অসহায় মানুষ
[B]ভবঘুরে মানুষ
[C]ভিখারি মানুষ
[D]সাধারণ মানুষ
17)আমরা দোরে দোরে ফিরছি কারন ——
[A]বারংবার সাহায্যের বার্থ প্রার্থনা জানাতে
[B]জনগণনা করতে
[C]একমুঠ অন্নের জন্য
[D]গান শুনতে
18)”আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি ” কথাটি কবিতায় ব্যবহৃত হয়েছে –
[A]এক বার
[B]দুই বার
[C]তিন বার
[D]চার বার
19)কবি শঙ্খ ঘোষের প্রকৃত নাম কি ?
[A]চিত্তপ্রিয় ঘোষ
[B]রূপক মিশ্র
[C]রাধানাথ ঘোষ
[D]মহাস্থিবর ঘোষ
20)কবি শঙ্খ ঘোষের লেখা অন্য্ আরেকটি কাব্য গ্রন্থ হল –
[A]মরাচাঁদ
[B]মরুশিখা
[C]বাবরের প্রার্থনা
[D]বলাকা
আয় আরো বেঁধে বেধেঁ থাকি কবিতার অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর VSAQ
অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ১) আয় আরো বেঁধে বেধেঁ থাকি (শঙ্খ ঘোষ ) কবিতা প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ – Madhyamik Bengali Suggestion 2023
৬.‘ আমাদের চোখমুখ ঢাকা ‘ — ‘ চোখমুখ ঢাকা ’ – র কারণ কী ?
উত্তর: পৃথিবীর সমস্ত ইতিহাসই ক্ষমতাবানের ইতিহাস । দুর্বল , বিপন্ন মানুষের ইতিহাস কখনোই সভ্যতার দর্পণে প্রতিফলিত হয় না । প্রকৃত সত্য জেনেও সাধারণ মানুষ অন্ধ , আসল অবস্থা বুঝেও তারা বোবা । তাই তাদের ‘ চোখমুখ ঢাকা ‘ ।
৭.‘ আমরা ভিখারি বারোমাস বলার কারণ কী ?
উত্তর: সাম্রাজ্যবাদী শক্তির শোষণে নিপীড়িত , বর্ণিত ও হতভাগ্য জনগণ আজ আশ্রয় ও জীবিকা হারিয়ে চিরভিখারিতে পরিণত হয়েছে । সেইসঙ্গে প্রতিকূলতা ও যুগযন্ত্রণায় ভীরু – দুর্বল সাধারণ মানুষের সামগ্রিক দৈন্যদশাও আজ বড়ো প্রকট । তাই কবি এ কথা বলেছেন ।
৮. ”আমাদের শিশুদের শব / ছড়ানো রয়েছে কাছে দুরে ”– বলার অর্থ কী ?
উত্তর: যুদ্ধ , দাঙ্গা ও রাজনৈতিক সন্ত্রাস কবলিত আজকের দুনিয়ায় হিংস্রতার হাত থেকে রেহাই পায়নি শিশুরাও । সেই ভয়াবহ অবস্থার কথা বোঝাতেই কবি এই উক্তি করেছেন।
৯.‘ আমরাও তবে এইভাবে / এ – মুহূর্তে মরে যাব না কি ? ‘ — এ কথা বলার অর্থ কী ?
উত্তর: চারদিকের প্রতিকূলতা , হানাদারি শত্রুর আক্রমণে গৃহহারা মানুষ চোখের সামনে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মৃত্যু দেখে কবি অত্যন্ত হতাশাগ্রস্থ হয়ে নিজেদের বাঁচাতে পারবেন কিনা – এই বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেই উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন।
১০.‘ আমাদের ’ বলতে কবি কাদের বুঝিয়েছেন ?
উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষ তাঁর ” আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” কবিতায় ‘ আমাদের ’ বলতে দেশকালের সীমা অতিক্রম করে সাম্রাজ্যবাদী ও হানাদারি শত্রুর হাতে আক্রান্ত সাধারণ মানুষদের বুঝিয়েছেন ।
১১.‘ ডান পাশে ধ্বস ’ ও ‘ বাঁয়ে গিরিখাদ ’ বলতে আসলে কবি কী বুঝিয়েছেন ?
উত্তর: আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি ‘ কবিতায় ‘ ডান পাশে ধ্বস ’ ও ‘ বাঁয়ে গিরিখাদ ‘ বলতে কবি আসলে মানুষের পদে পদে বিপদ এবং পতনের আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন ।
১২.‘ আমাদের ডান পাশে ধ্বস ’ –‘ধ্বস ‘ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ কী ?
উত্তর: ‘ ধ্বস ‘ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ খসে পড়া । পাঠ্য কবিতায় সাধারণ মানুষের চলার প্রতি পদে পদে বিপদের সম্ভাবনাকে ফুটিয়ে তুলতে শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ।
১৩.‘ আমাদের বাঁয়ে গিরিখাদ ’ – ‘ গিরিখাদ ‘ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ লেখো ।
উত্তর:‘ গিরিখাদ ’ হল দুই পর্বতের মাঝে সৃষ্ট গভীর খাদ । পাহাড়ি পথের বিপদসংকুলতার মতোই বর্তমান বিশ্বে মানুষের জীবনে ছড়িয়ে থাকা প্রতিকূলতাকে বোঝাতেই ” আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি ”কবিতায় শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ।
১৪.‘ আমাদের মাথায় বোমারু ‘ বলতে কী বলা হয়েছে ?
উত্তর: যুদ্ধবাজ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যেমন বোমারু বিমান থেকে অতর্কিতে আক্রমণ চালায় , তেমনই আচমকা আক্রমণে মানুষের জীবন আজ বিপন্ন । কবিতায় সেই বিপন্নতার কথাই বলা হয়েছে ।
আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর SAQ
ব্যাখ্যাভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (প্রশ্নমান – ৩) আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি (শঙ্খ ঘোষ ) কবিতা প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ – Madhyamik Bengali Suggestion 2023
উত্তরঃ প্রশ্নোদ্ধৃতাংশ মন্তব্যটি কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” কবিতায় উল্লেখ করেছেন ।
চারপাশের অরাজকতা, ধর্ম কিংবা রাজনীতি —প্রতিটি ক্ষেত্রেই অসহিষ্ণুতা, সাম্রাজ্যবাদের সীমাহীন লোভ পৃথিবী জুড়ে হত্যা আর ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে । বেঁচে থাকাটাই যেন এক বিস্ময় হয়ে উঠেছে । শিশুরা পর্যন্ত এই ধ্বংসলীলা থেকে রেহাই পাছে না । এই অবস্থায় প্রতিটি মানুষই যেন বেঁচে থাকার অনিশ্চয়তায় ভুগছে । সর্বোপরি, এই পরিজনহীন অবস্থাতে বেঁচে থাকা যেন মৃত্যুর মতো যন্ত্রনাদায়ক । এ কারণেই কবি প্রশ্নে উল্লিখিত মন্তব্যটি করেছেন ।
২.”আমাদের ইতিহাস নেই” — কে, কেন এ কথা বলেছেন ?
উত্তরঃ কবি শঙ্খ ঘোষ তাঁর রচিত “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” কবিতায় প্রশ্নের উদ্ধৃত অংশটির কথা বলেছেন ।
ইতিহাস হল কোনো জাতির এবং সভ্যতার আত্মবিকাশের পথ ও পর্যায়ের কাহিনি । কিন্তু যখন সেই ইতিহাস নিয়ন্ত্রিত হয় কোনো ক্ষমতাবান গোষ্ঠী, ধর্মসম্প্রদায় কিংবা রাজনীতির দ্বারা, তখন ইতিহাসের বিকৃতি ঘটে । ক্ষমতাবানরা নিজেদের স্বার্থে ইতিহাসকে নিজেদের মতো করে গড়ে তোলে । মানুষ একসময় ভুলে যায় তার প্রকৃত ইতিহাস, আর চাপিয়ে দেওয়া ইতিহাসকেই নিজের বলে মেনে নেয় । এই পরিপ্রেক্ষিতেই এখানে কবি বলেছেন আমাদের ইতিহাস নেই ।
৩.”আমাদের পথ নেই কোনো”- ‘পথ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ? কবির এমন আশঙ্কার কারণ ব্যাখ্যা করো ।
উত্তর: আলোচ্য অংশটি কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতার অন্তর্গত। এখানে ‘পথ’ বলতে অবক্ষয়ের যুগে আদর্শহীনতা ও অনিশ্চয়তার অন্ধকার থেকে বেরিয়ে নতুন ভাবে বাঁচার উপায় বা দিশাকে বোঝানো হয়েছে ।
বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ ,দাঙ্গা , রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা মানুষকে দিশেহারা করে তুলেছে। মানুষ আজ সন্ত্রাস আর বঞ্চনার শিকার। জীবনের প্রতি পদে প্রতিবন্ধকতা তার অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলেছে ।তাই কবির আশঙ্কা এই অন্ধকারের আবর্ত থেকে বেরিয়ে এসে মানুষের সুস্থ জীবনযাপনের আর বুঝি কোনো উপায় নেই।
৪.আমরাও তবে এইভাবে / এ – মুহূর্তে মরে যাব না কি – এ শঙ্কার হেতু কী ?
উত্তরঃকবি শঙ্খ ঘোষের লেখা ‘ আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি ‘ কবিতা থেকে প্রশ্নোবৃত অংশটি গৃহীত । এখানে কবির এমন শঙ্কার কারণটি অত্যন্ত মর্মগ্রাহী । যেখানে আমরা আমাদের শিশুদের অস্তিত্ব রক্ষায় অপারগ , যেখানে প্রাণঘাতী হানাহানির অনায়াস শিকার হচ্ছে আমাদের শিশুরা ; সেখানে নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নটিও অবান্তর ও অর্থহীন হয়ে ওঠে । কারণ কবি কেবল বেঁচে থাকার জন্যই বেঁচে থাকাকে ঘৃণা করেন । তাই এহেন নারকীয় প্রবলের কাছে নতিস্বীকার এক সংবেদনশীল মানুষের কাছে অত্যন্ত যন্ত্রণা ও অপমানের বিষয় । পাঠ্য উদ্ধৃতাংশে সেই হতাশা ও অনুশোচনারই প্রকাশ ঘটেছে ।
৫‘ আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি ।’— এ আমন্ত্রণ কেন ?
উত্তরঃ ‘ আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি ‘ কবিতায় এ আমন্ত্রণ বর্তমান যুদ্ধবিধ্বস্ত পৃথিবীর গৃহহীন , অসহায় , নিরন্ন সাধারণ মানুষদের প্রতি । আশাবাদী কবি তাদের নিয়ে ঐক্যের স্বপ্ন দেখেন , আর দেখেন নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন । মানুষের চলার পথে ডাইনে , বাঁয়ে , উপর , নীচে প্রতিটি দিকেই প্রতিকূলতা । হানাদারি শত্রুর আক্রমণে মানুষ আজ গৃহহীন , বাদ যায়নি শিশুরাও । আমাদের নিজেদের অস্তিত্বও বিপন্ন । সমগ্র পৃথিবীটার যেন জীবস্মৃত অবস্থা । আর এইখানেই কবির দায়বদ্ধতা । তাই এরকম এক সংকট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কবি মানুষকে সংঘবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন ।
আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতার রচনাধর্মী বড় প্রশ্ন উত্তর (LAQ )
রচনাধর্মী বড় প্রশ্ন উত্তর (প্রশ্নমান – ৫) আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি (শঙ্খ ঘোষ ) কবিতা প্রশ্ন উত্তর – মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ – Madhyamik Bengali Suggestion 2023
১) “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি”- ‘বেঁধে বেঁধে থাকা’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন এবং কাদের এভাবে থাকতে বলেছেন ? কবি বেঁধে বেঁধে থাকার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন কেন?
অথবা, “তবু তো কজন আছি বাকি/ আয় আরো হাতে হাত রেখে/ আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি”- কবিতাটির মধ্যে কবি যে- মূল বক্তব্য তুলে ধরতে চেয়েছেন তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। উদ্ধৃতাংশটির প্রেক্ষিতে কবি মানসিকতার পরিচয় দাও।
২)‘ আমরা ভিখারি বারোমাস’— ‘ আমরা ’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে ? তারা নিজেদের সর্বদা ভিখারি বলে মনে করেছেন কেন ?
উত্তর: কবি শঙ্খ ঘোষের ‘ আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি ‘ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত । এখানে ‘ আমরা ‘ বলতে বর্তমান বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসনে ও মৌলবাদী শক্তির অত্যাচারে জর্জরিত সাধারণ , শান্তিকামী ও শ্রমজীবী মানুষদের বোঝানো হয়েছে ।
এক্ষেত্রে ‘ আমরা ’ একটি বিশেষ শ্রেণিচরিত্র , দেশকালভেদে যারা সর্বদাই এক । সাধারণ , শ্রমজীবী এই মানুষগুলি সমাজের নীচের তলার মানুষ হিসেবে পরিচিত । এরা সভ্যতার ধারক ও বাহক । কিন্তু এরাই থাকে – সবচেয়ে অন্ধকারে । সমাজের তথাকথিত উচ্চবিত্তের দয়া-দাক্ষিণ্যের ওপর নির্ভর করে এদের মরা বাঁচা । শাসকের ক্ষমতার বদল হলেও এদের দীনতার কোনো বদল হয় না । সাধারণ এই মানুষগুলি সর্বদাই বঞ্চিত থাকে তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে । আবার সাম্রাজ্যবাদী ও মৌলবাদী শক্তি যখন নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিশ্বময় উন্মাদনা সৃষ্টি করে , তখন সবার আগে এরাই আশ্রয়চ্যুত হয়ে পড়ে , টান পড়ে এদের রুটি – রুজিতে । এদের জীবনের ইতিহাস কোথাও লেখা হয় না । আর যদিও – বা হয় তবে তা ক্ষমতাবান ও সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে বিকৃত হয়ে পরিবেশিত হয় । অথচ এই সমস্ত মানুষরা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক বিচারে ভিখারি নয় , এরা সামাজিক দিক দিয়েও দীন , শাসকের অবজ্ঞা , উপেক্ষা ও অবহেলার পাত্র । তাই কবি এই সাধারণ মানুষদের জবানিতে বলেছেন , ‘ আমরা ভিখারি বারোমাস ।
৩)‘ আমাদের ইতিহাস নেই— কাদের , কেন ইতিহাস নেই ? এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে সভ্যতার কোন্ কলঙ্কিত ইতিহাসকে বোঝাতে চাওয়া হয়েছে ?
উত্তর: ”আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” কবিতায় কবি শঙ্খ ঘোষ সারাপৃথিবীর খেটে – খাওয়া সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের ইতিহাসহীনতার প্রতি দিক্নির্দেশ করেছেন । আসলে এ বিশ্বের ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয় শাসক কিংবা সাম্রাজ্যবাদীর ইচ্ছা আর পরিকল্পনায় । তাই সেখানে উপেক্ষিত দুর্বলের বাস্তব অবস্থার যথার্থ প্রতিচ্ছবি কখনোই ফুটে ওঠে না । ক্ষমতাবানের দম্ভ আর আস্ফালনে সাধারণ মানুষের কথা ইতিহাসে স্থান পায় না।
কলঙ্কিত ইতিহাসের পরিচয়: বর্তমান সময়ে হিংসা ও রণরক্তে পর্যুদস্ত সাধারণ মানুষের দুরবস্থার কথা বলতে গিয়ে কবি ইতিহাসের প্রসঙ্গকে টেনে এনেছেন । কোনো দেশ কিংবা জাতির সমাজ , সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিবর্তনের ধারাবাহিক ভাষ্য আর বিশ্লেষণকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে মানুষের ইতিহাস । কিন্তু প্রথাগত ইতিহাস বা ক্ষমতাবানের পরিকল্পিত ইতিহাসে প্রাধান্য পায় শাসকের স্বার্থ । সেখানে বিকৃতি – বিভ্রান্তি ও মিথ্যা প্রচারে প্রকৃত ইতিহাস তার নিজস্বতা হারায় । সাধারণ মানুষ ক্রমশ ভুলে যেতে থাকে নিজের ঐতিহ্য – শিকড় – স্বপ্ন ও সংঘর্ষের ইতিবৃত্তকে । তারা দিশাহীন বিচ্ছিন্নতার স্রোতে ক্রমশ পথ হারায় । শাসকের উদ্দেশ্যপূরণ করে এমন চাপিয়ে দেওয়া মিথ্যা ইতিহাসের কলঙ্কিত রূপটিকেই তাই কবি এভাবে কটাক্ষ করেছেন ।
আরো পড়ুনঃ
মাধ্যমিক বাংলা ” আফ্রিকা ” কবিতার প্রশ্ন উত্তরের জন্য এখানে CLICK করুন।
মাধ্যমিক বাংলা ” অভিষেক ” কবিতার প্রশ্ন উত্তরের জন্য এখানে CLICK করুন।
মাধ্যমিক বাংলা ”প্রলয় উল্লাস ” কবিতার প্রশ্ন উত্তরের জন্য এখানে CLICK করুন।
মাধ্যমিক বাংলা ” সিন্ধুতীরে ” কবিতার প্রশ্ন উত্তরের জন্য এখানে CLICK করুন।
মাধ্যমিক বাংলা ” অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান ” কবিতার প্রশ্ন উত্তরের জন্য এখানে CLICK করুন।
I was very happy to uncover this great site. I need to to thank you for your time for this particularly wonderful read!! I definitely loved every little bit of it and I have you book marked to see new information on your web site.
Thank you .